গাজা থেকে আরও তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার

হানান ইয়াবলঙ্কা, মিশেল নিসেনবাউম এবং ওরিয়ন হার্নান্দেজ রাডক্স। ছবি: সংগৃহীত

গাজা থেকে আরও তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে আরও তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামলার সময় তাদের হত্যার পর মরদেহ গাজায় নিয়ে গিয়েছিল হামাস। আজ শুক্রবার (২৪ মে) তাদের মরদেহ উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। খবর রয়টার্সের।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, হানান ইয়াবলঙ্কা, মিশেল নিসেনবাউম এবং ওরিয়ন হার্নান্দেজ রাডক্সের মরদেহ উত্তর গাজার জাবালিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে গতকাল রাতে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই জাবালিয়ায় গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনী এবং হামাসের যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, গাজায় বন্দি বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েল বদ্ধপরিকর।

তিন বন্দির মরদেহ উদ্ধারের ঘোষণা দিয়ে তিনি টেলিভিশন বিবৃতিতে বলেন, আমরা তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই বন্ধ করব না। প্রতিটি ভদ্র দেশ এই একই কাজ করবে।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক