ফাহিমকে খুনের ঘটনার আড়ালে বান্ধবী জড়িত

ফাহিম

 

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি খুন

ফাহিমকে খুনের ঘটনার আড়ালে বান্ধবী জড়িত

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ফাহিম সালেহ রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা ছিলেন। ২০২০ সালের ১৩ জুলাই নিউইয়র্কের নিজ অ্যাপার্টমেন্টে খুন হয়েছিলেন ফাহিম সালেহ। ওই খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হোন ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হ্যাসপিল।  
২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের একটি আদালতে হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়েছে।


গতকাল শুক্রবার ( ২৪ মে) নিউইয়র্ক পোস্ট এ নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয় , হ্যাসপিলের শাস্তি লঘু করা হতে পারে। এমন কথাই হ্যাসপিলের পক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন।  

আইনজীবীরা দাবি করেছেন, সালেহর হাজার হাজার ডলার তছরুপ করার পর সেই ঘটনা লুকাতেই তিনি ওই হত্যাকাণ্ড ঘটান।


এক আইনজীবী জানান,ফাহিমের আর্থিক ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো দেখতেন হ্যাসপিল। ফাহিমের মোটা অঙ্কের অর্থ (৪ লাখ ডলার) চুরি করেছিলেন হ্যাসপিল। কিন্তু বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। ফাহিম হ্যাসপিলকে ক্ষমা করে দেন এবং  টাকা েধীরে ধীরে ফেরত দেওয়ার কথা বলেছিলেন।  
হ্যাসপিলের জন্ম দরিদ্র পরিবারে। নিজের যোগ্যতায় যুক্তরাষ্ট্রে স্খায়ী হোন। তার ক্যারিয়ারের বিষয়ে বড় ভুমিকা রেখেছিলেন ফাহিম। হ্যাসপিলের এক বান্ধবী ছিল। সেই বান্ধবীকেও দামি দামি উপহার দিতেন তিনি। হ্যাসপিল এখন মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন ও কৃতকর্মের জন্য নিজেকে অপরাধী ভেবে ‘জীবনে সেরা অন্যায়’ করেছেন ভাবছেন। তার এই মানসিক অবস্থান ও উপলব্ধির কথা আদালতে বলা হয়েছে।  বলা হয়েছে সেই বান্ধবীর কারণেই লোভী হয়ে উঠেছিলেন  হ্যাসপিল এবং সেজন্য ফাহিমকে খুন করেন।  
সরকারি কৌঁসুলিদের ধারণা, ফাহিমকে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনামাফিক খুন করেন হ্যাসপিল। এর আগে টেজার ব্যবহার করে ফাহিমকে অজ্ঞান করা হয়। টেজারের সূত্র ধরে হ্যাসপিলকে শনাক্ত করার কথা জানায় পুলিশ। হত্যার পর ফাহিমের শরীর খণ্ডবিখণ্ড করার কাজে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক করাতসহ পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী কেনার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়।

news24bd.tv/ডিডি

এই রকম আরও টপিক