ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের প্রয়াত এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বন্ধু ও ব্যবসায়িক সঙ্গী আখতারুজ্জামান শাহিনকে আমরা হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে মনে করছি। আমরা তাকে খুঁজছি, এবং তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য আমরা ভারত, নেপাল ও মার্কিন সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি।
শনিবার (২৫ মে) হিন্দুস্তান টাইমসের সাথে কথোপকথনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শাহীনকে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। এমপি আনারের পরিবারকে ন্যায়বিচার দেয়ার জন্য আমরা ইন্টারপোল সহ সকল এজেন্সির সাথে কাজ করছি।
খুনের পেছনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই কারণ উদঘাটন করবো।
এ ব্যাপারে শাহীনের ভাই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো শহীদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে তার ভাইয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
হিন্দুস্তান টাইমসকে শহীদুজ্জামান বলেন, যতোদূর জানি শাহীন এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে। আমরা একসাথে বড় হয়েছি এবং সে যে এমন এক জঘন্য অপরাধ করতে পারে টা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
তবে এমপি আনারের সাথে শাহীনের ব্যবসায়িক যোগসূত্রের বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি শহীদুজ্জামান।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, বাংলাদেশ সরকারের সাথে মার্কিন সরকারের অপরাধী বিনিময়ের কোনো চুক্তি না থাকলেও ভারতের সাথে রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় আমরা শাহীনকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি, কারণ অপরাধটি ভারতের মাটিতে সংঘটিত হয়েছে।
মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া শাহীন এই মুহূর্তে নিউ ইয়র্কে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
news24bd.tv/ab