তৈমুর খানের গুচ্ছ কবিতা

রিসাত

তৈমুর খানের গুচ্ছ কবিতা

অনলাইন ডেস্ক

নিজেকে লুকিয়ে রাখি
কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না ভালোবাসা হারিয়ে গেল   । একটি হলুদ রঙের পোশাক ফেলে চলে গেল   । স্মৃতির উঠোন খাঁখাঁ করে পারস্পরিক শূন্যতায় কিছু জ্বরের উষ্ণতা ঘুরেফিরে খেলাধূলা করে   । দিনশেষের ক্লান্তি উড়ে আসে সেও অদৃশ্য কোনও পাখি আমার কাছেই বৈধতা চায়   ।

দু'একটি রাস্তা খুঁজে খুঁজে নিরর্থ কল্লোলে আমি কান পেতে থাকি   । কে নৌকার দাঁড় টানে  ? ছোপ ছোপ শব্দ হয় শব্দের বিস্তারে রাত্রি নামে   । আমি স্তব্ধতার কাছে আমার ব্যাকুলতা রাখি নিজেকে নিজের ভেতরে লুকাই   ....

আহত সৈনিক
এত আলোর গান কারা গায়  ? তাঁবুর ভেতর অন্ধকার অন্ধকারে যুদ্ধ আমাদের কার সঙ্গে যুদ্ধ ? প্রতিপক্ষ কারা ? নিজের সম্মুখে নিজে জেগে আছি নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করা  ! নিজেকেই চেনা যায় না আদিম রক্তের ধারায় ভেসে যায় আলো ক্ষতগুলি বেঁধে রাখি বারবার সংযম কোথাও নেই আত্মবিষণ্ণ মাঠ জুড়ে মর্মের স্বপ্নিল পাখিগুলি উড়ে যায় অথর্ব পরাজিত বসে থাকি আহত সৈনিক এক চারিপাশে বিদ্রুপের ঘোর বজ্রধ্বনি

নৈঃশব্দ্যের পাড়ায় মেঘ জমে
নৈঃশব্দ্যের পাড়ায় মেঘ জমে গার্হস্থ্য বিকেলে ভয় নাচে আমরা পুতুল হয়ে খোকা ও খুকুর ঘরে শুয়ে থাকি । আমাদের বিবাহ উৎসব প্রচলিত বাল্যধারণায় প্রবেশ করি ফুলশয্যায় ।

আনন্দ ব্যঞ্জনে মিষ্টি মুখ আহা কত কত মিষ্টি শাকপাতা ধুলোমাটি... যদিও পুতুল , ব্যাকুলতা স্পর্শ করে ঘুমের আড়ালে অজাগর কষ্টগুলি নোনতা ফুলের মতো ফোটে বাতাসের বাজনায় আন্দোলিত কোনো গান ঘুরেফিরে আসে মৃত ও জীবিত সমুদ্র উথাল পাথাল...

মধু
জীবন মধু খেতে চায় সব মৌমাছিরা চাক গড়ছে আর মধু জমা করছে যেদিকেই হাঁটছি —মধুর বাজার এখানে কল্পনার বাড়ি এসে ভারি হাসিখুশি জীবনের বিশ্রামের দোকানে সাজানো আছে ঘুম যে যেমন পরিমাণ চায় সে তাই নেয় এখানে সবাই আলো, বোধের কুটুম পুকুর ভর্তি সব নীল নীল মাছেরা খেলা করছে জীবন মাছের ঢেউ দেখতে দেখতে জলেই নামার উপক্রম তাকে সতর্ক করা হল জীবন মধু খেতে চায় কল্পনা, ওকে মধু এনে দাও  ।


news24bd.tv/ডিডি

এই রকম আরও টপিক