অলাভজনক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল উইটনেস ও ফক্সগ্লোভ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে হিংসাত্মক ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করেছে, তা শনাক্তে আবারও ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক ও এর মূল কোম্পানি মেটা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম এপি এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।
এপির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রডাক্ট ম্যানেজার ও হুইসেলব্লোয়ার ফ্রান্সেস হাউগেন ইথিওপিয়াকে কেন্দ্র করে জাতিগত সহিংসতা উসকে দেয়— এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন, কিন্তু ফেসবুক ‘ঘৃণ্য বার্তাগুলো’ শনাক্তে ব্যর্থ হয়। গত মার্চ মাসে গ্লোবাল উইটনেস মিয়ানমারে ‘ঘৃণাত্মক বক্তব্য’ প্রচার করেছিল সেটিও শনাক্ত ব্যর্থ হয় ফেসবুক।
গ্লোবাল উইটনেস ১২টি বিজ্ঞাপন তৈরি করছে, যা ইথিওপিয়ার তিনটি প্রধান জাতিগতগোষ্ঠী— আমহারা, ওরোমো ও টাইগ্রায়ানদের হত্যার আহ্বান জানানো হয়েছে। ফেসবুক সেগুলোকে প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছে। মিয়ানমারের বিজ্ঞাপনগুলোর ক্ষেত্রেও তারা একই রকম কাজ করেছে।
গ্লোবাল উইটনেস অবশ্য এসব বিষয়ে মেটাকে অবহিত করেছে।
গ্লোবাল উইটনেস অনুমোদনের জন্য ‘স্পষ্ট বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য’সহ আরও দুটি বিজ্ঞাপন জমা দেয়। ইথিওপিয়ার সর্বাধিক ব্যবহৃত ‘আমহারিক’ ভাষায় লেখা ছিল ওই বিজ্ঞাপন দুটি। সেগুলোও অনুমোদিত হয়। যদিও মেটা বলেছে, এ বিজ্ঞাপনগুলো অনুমোদন করা উচিত হয়নি।
পরে মেটা এক বিবৃতিতে বলেছে, ইথিওপিয়ায় ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। এর আগে যেটা ঘটেছে সেটা ভুল হয়েছে।
গ্লোবাল উইটনেস-এর একজন প্রচারক রোজি শার্প বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে খারাপ কেসগুলো বেছে নিয়েছি। এগুলো শনাক্ত করা ফেসবুকের জন্য সবচেয়ে সহজ ছিল। ’
গত নভেম্বরে মেটা বলেছিল, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর একটি পোস্ট তারা সরিয়ে দিয়েছে। সেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তাইগ্রে বাহিনীকে ‘কবর’ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। ’
যদিও ইথওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহম্মেদের ওই অ্যাকাউন্ট এখনো চালু আছে। তার প্রায় ৪.১ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। ২০২১ সালে এক বক্তব্যে তিনি তাইগ্রে বাহিনীকে ‘ক্যান্সার’ ও ‘আগাছা’ হিসাবে বর্ণনা করেন।
ইথিওপিয়ায় গণহত্যার আহ্বান জানানোর বিজ্ঞাপন ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার হয়েছে, যা ফেসবুকের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মিয়ানমারের গণহত্যার কয়েক বছর পর আবারও এ ধরনের বক্তব্য প্রমাণ করে, ফেসবুক তার নীতিমালা থেকে শিক্ষা নেয়নি।
news24bd.tv/আইএএম