ভাঙ্গায় মাদ্রাসা পড়ুয়া এক কিশোরীকে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোড থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। এর মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. খালেক মোল্লার ছেলে সাইফুর রহমান সুজন (২১)।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডের ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা এলাকায়।
এ ব্যাপারে কিশোরীর মা বাদী হয়ে আজ শনিবার ভাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন।
কিশোরীর অভিযোগ ও ভাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৩১ মে) মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থী (১৫) একই উপজেলার গুপ্তেরকান্দি গ্রামের এক কিশোরকে নিয়ে ভ্যানে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ইন্টারসেকশনে ঘুরতে আসেন। ভাঙ্গা থেকে পুনরায় ভ্যানযোগে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোড দিয়ে শিবচরের দিকে যাওয়ার সময় বামনকান্দা নামক স্থানে ফাঁকা জায়গায় পিছন থেকে একটি মোটরসাইকেল তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে।
মোটরসাইকেলে ৩ জন ছিল।
এ সময় ধর্ষণ চেষ্টায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সাইফুর রহমান সুজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। তার অন্য দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। সুজনের স্বীকরোক্তি অনুযায়ী শনিবার সকাল ১০টার দিকে সুজনের অপর দুই সহযোগী তাহসিন মুন্সী ও মুন্না মিয়াকে আটক করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। শনিবার কিশোরীর মা বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় মামলা করার পরে আটক ৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আল রশিদ বলেন, মেয়েটি তার কথিত প্রেমিককে নিয়ে ভাঙ্গা থেকে ঘুরে ভ্যান যোগে শিবচর যাওয়ার সময় ভাঙ্গা বামনকান্দা এলাকায় ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়। তাকে ভ্যান থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত সাইফুর রহমান সুজন ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ খালেক মোল্লার ছেলে।
news24bd.tv/কেআই