ডলারের রেট ভিন্নতার কারণে এলোমেলো হতে পারে বাজেটের হিসাব

ডলারের রেট ভিন্নতার কারণে এলোমেলো হতে পারে বাজেটের হিসাব

অনলাইন ডেস্ক

প্রায় এক মাস আগে ডলারের বিপরীতে ৭ টাকা কমানো হয়েছে টাকার দাম। কিন্তু আগামী অর্থবছরের বাজেট নথির আর্থিক প্রাক্কলনগুলোর সঙ্গে নতুন বিনিময় হারের সমন্বয় করা হয়নি।

অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, এর ফলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট প্রদানে হিসেব এলোমেলো হয়ে যেতে পারে।

এদিকে গত ৮ মে ক্রলিং পেগ ব্যবস্থা চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ ব্যবস্থায় ডলারের আনুষ্ঠানিক মধ্যবর্তী দর ধরা হয়েছে ১১৭ টাকা। কিন্তু ডলার রেট ১১৭ টাকার বেশি হলেও আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ, ভর্তুকি ও প্রকল্প ব্যয়ের বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিনিময় হার ১১০ টাকা দরে হিসাব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

উদাহরণস্বরূপ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রাক্কলন করেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদেশি ঋণদাতাদের ঋণ ডেবট সার্ভিসিংয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৪.২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে।

সেক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দর ১১০ টাকা হিসাবে ডেবট সার্ভিসিংয়ের জন্য দিতে হবে ৪৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

তবে ডলারের দাম ১১৭ টাকা হিসাব করলে তা ২ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা বেশি হবে। বিনিময় হার হিসেবের এই তারতম্য কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের জ্বালানি তেল ও সার আমদানির জন্য সরকারি ব্যয়কে ব্যাহত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাজেট হিসাবে টাকার এই বড় অবমূল্যায়নকে সমন্বয় না করায় চিন্তিত অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, বিনিময় হারের এই বিপুল ফারাক আগামী অর্থবছরে সরকারের আয়-ব্যয়ের হিসাব এলোমেলো করে দিতে পারে।

অর্থ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, 'আগামী অর্থবছরের বাজেটে ১১০ টাকা ডলার রেটে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ প্রাক্কলন করা হলে তিন মাসের মধ্যেই এসব হিসাব-নিকাশ এলোমেলো হয়ে যাবে। তখন এক খাতের বরাদ্দ আটকে রেখে অন্য খাতের অর্থের জোগান নিশ্চিত করতে হবে। এতে সামগ্রিকভাবে বাজেটের হিসাব-নিকাশ পাল্টে যাবে। '

এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কারণে অর্থনৈতিক প্রভাব অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছে অর্থ বিভাগ।

আগামী বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

news24bd.tv/SC 

এই রকম আরও টপিক