দিল্লিতে সরকার গঠনের চাবিকাঠি আপাতত এনডিএ শরিক চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমারের হাতে। তাদের সমর্থন যেদিকে যাবে, তারাই দিল্লিতে সরকার গঠন করবে বলে ধারণ করা হচ্ছে।
ভারতে নির্বাচনের ভোট গণনা এখনো শেষ না হলেও অর্ধেক ভোট গণনা শেষে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২৪১ আসনে, আর প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ৯৯ আসনে। গত নির্বাচনে বিজেপি একাই ৩০৩টি আসন পেয়েছিল।
সূত্রের খবর, এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে এনডিএ জোট। এনডিএ জোটের শরিকদের প্রধান অন্ধ্র প্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম এগিয়ে রয়েছেন ১৬ আসনে এবং বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি–ইউ)।
বিজেপিকে এই দুই দল ছাড়া মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দলের মতো এনডিএ শরিকের ওপরে নির্ভর করতে হবে।
মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, এগিয়ে রয়েছে ৬ আসনে, বিহারে লোক জনশক্তি পার্টি এগিয়ে রয়েছে ৫ আসনে এবং উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দল এগিয়ে রয়েছে তিন আসনে।
তবে শুধু এসব দলই নয়, আরও বেশ কিছু দল রয়েছে, যাদের কেউ দুই বা এক আসনে সারা ভারতে এগিয়ে রয়েছে। এদেরও সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে ভবিষ্যতের বিজেপিকে।
সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নতুন ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে বিজেপিকে ।
অমর্ত্য সেনের প্রতীচি ইনস্টিটিউটের মুখ্য জাতীয় গবেষক সাবির আহমেদ বলেন, শরিক দলগুলোকে নিয়ে পরবর্তী সরকার চালানো এনডিএ জোটের জন্য একটা নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা হবে।
এবার শরিকদের কথা শুনতে হবে এ কারণে মোদি-শাহের সরকার বেশ খানিকটা চাপে থাকবেন উল্লেখ করে সাবির আহমেদ বলেন, এত দিন বিজেপি একাই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত। অবশ্যই এনডিএ ছিল। কিন্তু বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর ছিল না। সব সময় বিজেপির সিদ্ধান্ত বা নীতি অগ্রাধিকার পেত। বিশেষ করে বিভিন্ন বিলকে আইনে পরিণত করার প্রশ্নে। এবারে কিন্তু তাদের শরিকদের কথা শুনতে হবে এবং এটা নিয়ে মোদি-শাহের সরকার বেশ খানিকটা চাপে থাকবেন। বিশেষত যখন বিরোধীদের শক্তি অনেকটাই বাড়ল।
১৯৯৯ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট একাধিক শরিক নিয়ে পাঁচ বছর সরকার চালিয়েছিল। তাঁর অসুবিধা হলেও অটল বিহারী বারবারই বলতেন, ইন্দিরা গান্ধী ও কংগ্রেসের বিরোধিতা করে জোট ঘরানার রাজনীতিতে তিনি অভ্যস্ত ও স্বচ্ছন্দ।
কিন্তু এখনকার বিজেপি তা নয়। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি এককভাবে বারবার জিততেই অভ্যস্ত। শরিকদের ওপর নির্ভর করে এবং তাদের ভরসায় রাজ্য বা কেন্দ্র কোথাও সরকার চালাননি নরেন্দ্র মোদি। এই নতুন সমীকরণের সঙ্গে তিনি কীভাবে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন, কীভাবে ওঠাবসা করছেন সেই সব বন্ধুর সঙ্গে, যাদের ওপর আগামী দিনে তাঁর সরকারের বাঁচা–মরা নির্ভর করবে।
news24bd.tv/তৌহিদ
