কোটার নামে এখন আওয়ামী লোকেদের চাকরির ব্যবস্থা হবে: রিজভী

কোটার নামে এখন আওয়ামী লোকেদের চাকরির ব্যবস্থা হবে: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক অর্জন ক্ষমতাসীনদের নেই। ধমক দিয়ে হুমকি দিয়ে আদালতকে ব্যবহার করে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে সরকার।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁতি দলের আলোচনা সভায় এসব বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, আদালতে দলীয় লোকজনকে ধরে ধরে বিচারক বানানো হচ্ছে।

উচ্চ আদালত জামিন দিলেও নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে উচ্চ আদালতের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠায়- এটি কোনো আইনী প্রক্রিয়া না। তারা সিস্টেম করে দিয়েছ৷ উচ্চ আদালতের জামিন নিম্ন আদালত কি করে বাতিল করে। এটি আদালত অবমাননা। এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতাদের ঢালাওভাবে কারান্তরীণ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের কানেকশন ছাড়া কেউ বিচারক হন না।

তিনি বলেন, আদালতকে ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করা হলো। কোটার নামে আ. লীগের লোকদের চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করবে। সাধারণ মানুষের সন্তানরা চাকরি পাবে না। মুক্তিযোদ্ধা কোটার নামে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ চরম বিষবাস্পে পরিণত হয়েছে। নিজের স্বাধীনতা উপেক্ষা করে বিচার বিভাগ নিজেই সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, পুলিশ আজ বেপরোয়া। নারীকে টর্চার করে ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখছে। আজ ড. ইউনূসরা সম্মানিত নন, আজিজ বেনজিররা আজ সম্মানিত। সরকার বেনজিরদের লালন পালন করেছে। সাধারণ মানুষ তার ছিটেফোঁটাই জানে। ভেতরে আরও কতকিছু আছে।

এসময় রিজভী অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা বিভিন্ন চক্রের উন্নয়ন করেছে। এর মধ্যে আছে মালয়েশিয়া চক্র, যুক্তরাষ্ট্র চক্র।

রিজভীর দাবি, বিএনপি নেতাদের আক্রমণ করলে ছাত্রলীগ যুবলীগকে প্রমোশন দেয় আওয়ামী লীগ। দেশে লুটেরার অর্থনীতির রাজনীতি কায়েম করে রেখেছে আওয়ামী লীগ। লুটপাট দখলের রাজনীতির সাথে জিয়া খালেদা জিয়া তার দলকে সম্পৃক্ত করেনি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিজমের যে যাত্রা ভারতে চলছিলো ভারতের জনগণ সেটি আটকে দিয়েছে। আমাদের দেশেও জনগণের ইচ্ছার যাতে প্রতিফলন হয় সেই পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক