৬ দফা থেকে স্বাধীনতা

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ

৬ দফা থেকে স্বাধীনতা

অনলাইন ডেস্ক

স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা দাবির গুরুত্ব অপরিসীম। ৬ দফা দাবির ধারাবাহিকতায় এবং বঙ্গবন্ধুসহ বাঙালির বর্ণানাতীত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা ও বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের যেসব সোঁপান অতিক্রম করে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:    

ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ 
লাহোরে পাকিস্তানের বিরোধীদলের সম্মেলন শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ছয় দফা পেশ করেন বঙ্গবন্ধু ।

মে, ১৯৬৮ 
মে থেকে একটানা ৩৩ মাস কারাবন্দি ছিলেন বঙ্গবন্ধু।

১৪ বছরের কারাজীবনে এটাই ছিল তার দীর্ঘ কারাবাস।

জানুয়ারি, ১৯৬৮ 
পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দিতে তাকে প্রধান আসামি করে মোট ৩৫ জন বাঙালির বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে।

জুন, ১৯৬৮ 
ঢাকার এক বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের বিচার শুরু হয়। বিচারের প্রথম দিনেই বঙ্গবন্ধু একজন বিদেশি সাংবাদিককে বলেন, তারা আমাকে ছয় মাসের বেশি এখানে রাখতে পারবে না।

জানুয়ারি, ১৯৬৯ 
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ 
২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জেল থেকে মুক্তির পর কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সাক্ষাৎ হয়।

ডিসেম্বর, ১৯৭০ 
৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয় লাভ করে।

মার্চ, ১৯৭১ 
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে লাখো বাঙালির উদ্দেশ্যে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

ডিসেম্বর, ১৯৭১ 
দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা, জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের।
news24bd.tv/আইএএম