অভিনেত্রী হওয়ার জন্য কখনও তাড়াহুড়ো করিনি: কানজয়ী অনসূয়া

অভিনেত্রী হওয়ার জন্য কখনও তাড়াহুড়ো করিনি: কানজয়ী অনসূয়া

অনলাইন ডেস্ক

সম্প্রতি ৭৭তম আন্তর্জাতিক কাল চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন কলকাতার অভিনেত্রী অনসূয়া সেনগুপ্ত। আসরের প্রতিযোগিতা বিভাগে আঁ সার্তে রিগায় জায়গা করে নিয়েছিল ভারতীয় সিনেমা ‘দ্য শেমলেস’। যেখানে ‘দ্য শেমলেস’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন এই অভিনেত্রী।

তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি কানে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতলেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে আনন্দবাজার অনলাইনে নিজের জীবনের লম্বা জার্নির নানান বিষয় প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অনসূয়া।

গত ২৫ মে ভারতে খবরটা আসে একেবারে সাতসকালে। কানে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন তিনি। তারপর থেকেই আচমকাই প্রচারের আলোয় চলে আসেন অনসূয়া।

যদিও অভিনেত্রী হওয়ার সফর শুরু হয়েছিল বছর ১৫ আগে। অঞ্জন দত্তের ‘ম্যাডলি বাঙালি’ ছবির মাধ্যমে। তার পর মুম্বাই। এরপর লম্বা সময় ক্যামেরার নেপথ্যে কাজ। তবু নিজের অভিনেত্রী সত্তাকে লালন করেছেন সযত্নে।

‘সেরা’র শিরোপা ! প্রথম অনুভূতি কেমন ছিল? এমন প্রশ্নে অনসূয়া বলেন, সত্যি বলতে, যখন মঞ্চে আমার নাম ঘোষণা করা হয়, আমি অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। কয়েক মুহূর্তের জন্য তো বিশ্বাস করতে পারিনি, এটা কেমন করে হল! তারপর যখন মঞ্চে উঠে পুরস্কারটা নিলাম, অসম্ভব আনন্দ অনুভব করছিলাম ভিতরে ভিতরে। যত দিন যাচ্ছে, এটা বুঝতে করতে পারছি যে, এই জয় আমার একার নয়। গোটা দেশ যে আমার জন্যে এতটা গর্বিত, এটা একটা অসাধারণ অনুভূতি। এখনও সেই ঘোরের মধ্যেই রয়েছি।

আরেক প্রশ্নে অভিনেত্রী বলেন, আমি খুব বেশি তাড়াহুড়োয় বিশ্বাসী নই। ভাল কিছু করতে গেলে সময় দেওয়া উচিত। আমি তাতেই বিশ্বাস করি। যে কোনও কিছু গভীরে ঢুকতে গেলে সময় দিতে হয়। আমার ‘দ্য শেমলেস’ ছবিটা সেই অপেক্ষারই ফল। সাংঘাতিক তাড়াহুড়ো করিনি, তাই সঠিক সময়ে ব্যাপারটা হয়েছে।

এত ধরনের কাজ করছেন, তার মাঝেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্নটা কবে থেকে লালন করছেন? উত্তরে তিনি বলেন, খুব ছোটবেলা থেকে। বাঙালি পরিবারে বড়ে হলে যা হয়। সাংস্কৃতিক পরিবেশেই বড় হয়েছি। পিয়ানো, আঁকা, থিয়েটার, আবৃত্তি... সবই শিখেছি। আর এই কৃতিত্ব বাবা-মায়ের, তাঁরা কখনওই চাননি শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় আমাকে আটকে রাখতে। বাড়িতে পরিবেশ ছিলই। যত বড় হয়েছি, সেটার প্রতি তত যত্নশীল হয়েছি।

সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতার খবরে আলিয়া ভাট থেকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনসূয়াকে। তিনি বলেন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, আলিয়া ভাটের মতো অভিনেত্রীরা যাঁরা নিজেদের কাজে এতটা সফল, তাঁরা যখন প্রশংসা করছেন, অনেকটা উৎসাহ পাওয়া যায়। আমি আপ্লুত।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? প্রশ্নের উত্তরে অনসূয়া বলেন, আমি আমার চোখ-কান খোলা রাখছি সেই ধরনের কাজের জন্য, যা আমার মন ছুঁয়ে যাবে। আর এত দিন যে ভাবে এগিয়েছি, ভবিষ্যতেও সে ভাবেই পদক্ষেপ করব। আমাদের দেশে এত ভাল ভাল পরিচালক রয়েছেন! সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে অনুরাগ কাশ্যপ, জোয়া আখতার... তাঁদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। এবং ভাল গল্প বলার যে স্বপ্ন, সেটা দেখে যেতে চাই। এবং অভিনয়ের দিকে আরও বেশি করে মনোনিবেশ করতে চাই।

news24bd.tv/TR  
 

এই রকম আরও টপিক