ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে আহত করার ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহ সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা তমাল (৩২) ও সহ সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম রনির (২৮) নামে মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন ডিবি পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, প্রতি রোববার বোয়ালমারীতে হাট বসে।
ছাত্রলীগের দুইনেতা পুলিশ সদস্য মির্জা গোলাম গাউসকে বেদমভাবে মারপিট করে আহত করে। রাতে মারাত্বক আহত অবস্থায় পুলিশ সদস্য মির্জা গোলাম গাউসকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, পুলিশ সদস্যকে মারপিট করে আহত করার ঘটনার পর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহসভাপতিকে আটক করে বোয়ালমারী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের রাখা হয়। সেসময় তাদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে তদবির করেন ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা। কিন্তু তাদের থানা থেকে না ছেড়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফরিদপুরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী জানান, ছাত্রলীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি বোয়ালমারীতে আসছিলেন। ডিবির গাড়ির কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে দুইপক্ষের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ রিয়ান জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে আমরা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। আশা করেছিলাম বিষয়টি মিটমাট হয়ে যাবে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. হান্নান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, সরকারী কাজে বাঁধাদান এবং পুলিশ সদস্যকে মারপিট করে আহত করার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
news24bd.tv/কেআই