নেপাল থেকে ৫ বছরের জন্য ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার, যার প্রতি ইউনিটের খরচ ৮ টাকা ১৭ পয়সা। নেপালকে দিতে হবে প্রতি ইউনিট ৬ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার। ভারত হয়ে ওই বিদ্যুৎ আসবে বলে ভারতকে ট্রেডিং মার্জিন হিসেবে দিতে হবে ইউনিট প্রতি দশমিক ০৫৯ রুপি। ভারতকে ট্রান্সমিশন খরচও দিতে হবে।
আজ (১১ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এটিসহ আরও ১৫টি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় জুলাই থেকে ডিসেম্বর মেয়াদে সিঙ্গাপুর থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার, যেখানে শুধু জাহাজ ভাড়া বা প্রিমিয়াম পড়বে ১৩ হাজার ৮৭৬ দশমিক ৫৩ কোটি টাকা।
তিউনিশিয়া থেকে ১১৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার, কানাডা থেকে ১২৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার, মরক্কো থেকে ২২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার, কাতার থেকে ১১০ কোটি ২৮ লাখ টাকায় ৩০ হাজার বাল্ক গ্র্যানিউলার ইউরিয়ার সার এবং কাফকো থেকে ১০৬ কোটি ২ লাখ টাকায় ৩০ হাজার বাল্ক গ্র্যানিউলার ইউরিয়ার সার কেনা হবে। এছাড়া আগামী ১ বছরের জন্য জিটুজি পদ্ধতিতে কাতার ও সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, 'ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে আসবে এই বিদ্যুৎ। ভারত হয়ে ওই বিদ্যুৎ আসবে বলে ভারতকে ট্রেডিং মার্জিন হিসেবে দিতে হবে ইউনিট প্রতি দশমিক ০৫৯ রুপি। ভারতকে ট্রান্সমিশন খরচও দিতে হবে; তবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। '
এই বিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ৫ বছরের জন্য ৬৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে।
মাহমুদুল হোসাইন খান আরও জানান, নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ বিষয়ে চুক্তি করবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নেপাল সফরের সময় কবে থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে, সেই বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
news24bd.tv/SHS