ধর্ষণের বদলে ধর্ষণ!

ধর্ষণ

ধর্ষণের বদলে ধর্ষণ!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে বাঁশের কঞ্চি ঢুকিয়ে নির্মমভাবে খুন করল প্রতিবেশী। খুনের পর গলায় দড়ি লাগিয়ে ঘরের সিলিংয়ে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। রোমহর্ষক এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মালদহের মানিকচক থানার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ব্রাহ্মণী গ্রামে।

এ ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।

ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত প্রতিবেশী।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হত্যার শিকার ওই স্কুলছাত্রীল বাবা ও অভিযুক্ত দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করত। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিবারও দিল্লিতে থাকত।

অভিযোগে জানা গেছে, দশম শ্রেণির ওই কিশোরীর বাবা দুবছর আগে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত ওই ব্যক্তির মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল।

সেই ধর্ষণের অভিযোগে দুবছর ধরে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে দিল্লির সংশোধনাগারে রয়েছে তার বাবা।

সম্প্রতি অভিযুক্ত সপরিবারে মালদহের বাড়িতে ফিরে আসে। মেয়েকে ধর্ষণের বদলা নিতে এবার এ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর সে খুন করে বলে অভিযোগ।

মালদহের মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, সে মানিকচকের এসটিভি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। বুধবার রাতে বাড়িতে অন্য কেউ ছিলেন না। ওই ছাত্রী একাই বাড়িতে ছিল। সেই সময় অভিযুক্ত ছাত্রীকে একা পেয়ে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে। তারপর ছাত্রীর উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে খুন করে পালিয়ে যায়।

নিহত ছাত্রীর চাচা জানিয়েছেন, তার ভাই দিল্লিতে জেলে রয়েছে। ভাবী তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে মানিকচকের বাড়িতে থাকেন। দুই বছর আগে অভিযুক্তের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করে নিহতের বাবা। এখনও পর্যন্ত সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি অবস্থায় রয়েছে।

নিহত ছাত্রীর চাচার অভিযোগ, মানিকচকের বাড়িতে ফিরে আসার পর থেকেই বদলা নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল অভিযুক্ত। দিল্লির ওই ঘটনার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভাবীর কাছে ৫ লাখ টাকা এবং ৫ কাঠা জমি চেয়েছিল। গরিব পরিবারের পক্ষে সেটা দেওয়া সম্ভব ছিল না। এ নিয়ে আক্রোশ বাড়তে থাকে। বুধবার রাতে ভাবী ও তার দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে যান। বাড়িতে ভাতিজি একাই ছিল। সেই সুযোগ নিয়ে তাকে ঘরে আটকে ধর্ষণ করার পর মারধর করা হয়। এমনকি বাঁশের কঞ্চি যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। রাতে ভাবী বাড়ি ফিরে আসতেই ভাতিজির মৃত্যুর খবর জানতে পারি।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর