দেশের শতকরা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ বংশগত রোগ থ্যালাসেমিয়ার বাহক। এর মধ্যে পুরুষ ১১ দশমিক ৯ শতাংশ ও মহিলা ১১ দশমিক দুই শতাংশ। আর এলাকাভিত্তিক বিবেচনায় রংপুরে সর্বোচ্চ ২৭ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষ মারাত্মক এই রক্ত রোগের বাহক।
রোববার (৭ জুলাই) আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে জাতীয় থ্যালাসেমিয়া সার্ভে ২০২৪ এ প্রকাশিত জরিপে এ তথ্য দেওয়া হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে থ্যালাসেমিয়ার বাহক আর থ্যালাসেমিয়ার রোগী এক কথা নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। মা-বাবা দুজনই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে সন্তান থ্যালাসেমিয়ার রোগী হওয়ার ঝুঁকি থাকে বলে জানান তারা।
জরিপে সারাদেশের ৮ হাজার ৬৮০ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এদের মাঝে থ্যালাসেমিয়া বহন করছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ, হেপাটাইটিস বি ১ দশমিক ২ শতাংশ ও হেপাটাইটিস সি দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
এছাড়া এই বাহকদের মধ্যে ১৪ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের ১১ দশমিক ৯ শতাংশ, ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মাঝে ১২ শতাংশ, ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মাঝে ১০ দশমিক তিন শতাংশ ও ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মাঝে ১১ দশমিক তিন শতাংশ।
বিভাগভিত্তিক তথ্যে দেখা যায়, রংপুর বিভাগে সবচেয়ে বেশি থ্যালাসেমিয়া বহনকারী রয়েছে। এলাকাটির ২৭ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক। পরের অবস্থানে রয়েছে রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ ও চট্টগ্রামে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের মাঝে বরিশালে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ, ঢাকায় ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, খুলনায় ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ ও সিলেটে ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। বাহকদের মাঝে গ্রামের বাসিন্দা ১১ দশমিক ৬ শতাংশ ও শহরে ১১ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।
news24bd.tv/DHL