মুসলিমদের কাছে জুমার দিন পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে এই দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। এ বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা) জুমার দিনে বিশেষ ৬ আমল জুমার নামাজ হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা, এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজান মধ্যবর্তী সময়ের পাপ মোচন করে; যদি সেই ব্যক্তি সব ধরনের কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম হাদিস ২৩৩) হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, সাধ্যমতো পবিত্র হলো, তেল ব্যবহার করল, ঘর থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করল, অতঃপর মসজিদে এলো,...
জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ৬ আমল
অনলাইন ডেস্ক

প্রচণ্ড ঝড়ের সময় মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তেন
অনলাইন ডেস্ক

ঝড়-বাতাস, অতিবৃষ্টিসহ সব ধরনের অকল্যাণ থেকে মহানবী (সা.) পরিত্রাণ চেয়েছেন। তাই কঠিন দুর্যোগকালে বাহ্যিক প্রস্তুতির পাশাপাশি তা থেকে পরিত্রাণ চেয়ে দোয়া করা সুন্নত। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল প্রচণ্ড বাতাস দেখলে এই দোয়া পড়তেন, اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهَا، وَخَيْرِ مَا فِيهَا، وَخَيْرِ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরিহা, ওয়া খাইরি মা ফিহা, ওয়া খাইরি মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজু বিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি। অর্থ : হে আল্লাহ, এই প্রচণ্ড বাতাস যেসব কল্যাণ ও উপকার নিয়ে এসেছে তা আমি আপনার কাছে চাই। এই প্রচণ্ড বাতাস যেসব ক্ষতি ও মন্দ নিয়ে এসেছে তা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি। (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ৩৪৪৯) অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ...
হজজুড়ে ইবরাহিম (আ.)-এর স্মৃতি
মাওলানা হানিফ আশরাফি

কাবাগৃহের নবনির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-কে নির্দেশ দেন মানুষের মধ্যে ঘোষণা করে দাও। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি হজের আজান দেন। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে : আর মানুষের কাছে হজের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর পথ পাড়ি দিয়ে। (সুরা : হজ, আয়াত : ২৬-২৮) এই ঘোষণার পর পৃথিবীর পাহাড়গুলো অবনত হয়ে যায় এবং তাঁর আওয়াজ পেৌঁছে যায় পৃথিবীর দিক-দিগনে্ত। ইবরাহিম (আ.)-এর এ আওয়াজ আল্লাহ তাআলা সব মানুষের কানে কানে পেৌঁছে দেন। এমনকি যারা ভবিষ্যতে কিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে আসবে, তাদের কানে পর্যন্ত এ আওয়াজ পৌঁছে দেওয়া হয়। যাদের ভাগ্যে আল্লাহ তাআলা হজ লিখে দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই এ আওয়াজের জবাবে আমি হাজির, আমি হাজির বলে হাজির হওয়ার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ইবরাহিম (আ.)-এর ঘোষণার জবাবই হচ্ছে হজে...
পবিত্র রওজা জিয়ারতের আদব
মুফতি আতাউর রহমান

রাসুলে আকরাম (সা.)-এর স্মৃতি ও সান্নিধ্যে ধন্য পবিত্র মদিনা নগরী। এই নগরীতেই শুয়ে আছেন মহানবী (সা.)। যদিও রওজা মোবারকের জিয়ারত হজের অংশ নয়, তবে তা যে কোনো মুসলমানের কাছে পরম প্রার্থিত বিষয়। উত্তম হলো যে মদিনায় গমন করবে সে রওজা জিয়ারতের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে নববীতে গমনেরও নিয়ত করে নেবে। কেননা বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা মসজিদে নববীর মর্যাদা প্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমার এ মসজিদে নামাজ আদায় (মক্কার) মসজিদুল হারাম ছাড়া অন্য যে কোন মসজিদে নামাজ আদায় অপেক্ষা এক হাজার গুণ উত্তম। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১১৯০) নবী করিম (সা.) আল্লাহর কাছে মদিনার সবকিছুতে বরকত দানের দোয়া করেন। তিনি আল্লাহর কাছে বলতেন, Èহে আল্লাহ! মক্কায় যতটুকু বরকত রয়েছে, মদিনায় তার দ্বিগুণ বরকত দাও। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩৩৯২) রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনাকে দারুল ঈমান বা ঈমানের আবাস আখ্যা দিয়েছেন। তিনি...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত