বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে শুক্রবার। এ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। কোথাও কোথাও সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পাশাপাশির গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর উত্তরা।
এতে দেখা যায়, মাথায় লাল রঙের হেলমেট পরা এক যুবক আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। মাথায় হেলমেট থাকার কারণে ওই যুবকের চেহারা দেখা যায়নি। এতে শিক্ষার্থীসহ অনেকে হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
তবে, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, রাজধানীর উত্তরায় কোনো ধরনের হতাহত বা সংঘর্ষের খবর পায়নি তারা। সামান্য ঝামেলা হয়েছিল বটে, কিন্তু সেটা বড় করে দেখেনি পুলিশ। এমনকি কোনো বাসা-বাড়িতে ঢুকে কাউকে আটক বা হয়রানিও করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা বলেন, আমরা এখনো কোনো হতাহতের খবর পাইনি। এমন কোনো ম্যাসেজ নেই। উত্তরায় তো আমাদের অফিসাররা ছিলেন। তারা জানিয়েছেন তেমন কিছু ঘটেনি।
উত্তরায় অস্ত্র হাতে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি, হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে, পুলিশকেও চড়াও হতেও দেখা গেছে। এমন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, না, এমন হওয়ার কথা না। পুলিশ এখন এসব কাজে নেই, পুলিশ এখন এ রকম কোনো কাজ আর করছে না। পুলিশ আসামি ধরার জন্য কাউকে হয়রানি করছে না। অবৈধ অস্ত্র হাতে কেউ সেখানে ছিল কি না বা গুলির ঘটনা ঘটলে সেটাও জানা যাবে। সত্যতা মিললে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উত্তরায় আসলে কী ঘটেছিল, সে প্রসঙ্গে ডিএমপির এ যুগ্ম কমিশনার বলেন, উত্তরায় এসবি অফিসে ভাঙচুরের একটা অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তবে সেখানে দায়িত্বে থাকা মাঠ পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বড় কিছু ঘটেনি।
news24bd.tv/কেআই