ঢাকাকে হারিয়ে প্লে-অফে চিটাগং

ছবি সংগৃহীত

ঢাকাকে হারিয়ে প্লে-অফে চিটাগং

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে ইতিমধ্যে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। এবার তৃতীয় দল হিসেবে শেষ চার নিশ্চিত করল চিটাগং ভাইকিংস। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১১ রানে হারিয়েছে মুশফিক বাহিনী। দুর্দান্ত এ বিজয়ে ১১ ম্যাচে ৭ জয় ও ৪ হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ালিফায়ারের টিকিট পেল তারা।

টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। সূচনালগ্নেই উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ শাহজাদের ক্যাচ বানিয়ে সুনিল নারাইনকে ফিরিয়ে দেন আবু জায়েদ। সেই রেশ না কাটতেই ইনফর্ম রনি তালুকদারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে শাহজাদের চতুরতায় মিজানুর রহমান রানআউটে কাটা পড়লে চাপে পড়ে দলটি।

চতুর্থ উইকেটে নুরুল হাসানকে নিয়ে চাপ কাটিয়ে ওঠেন সাকিব আল হাসান। ধুমধাড়াক্কা চার-ছয়ে চাপটা মূলত নিজেদের ওপর থেকে সরিয়ে দেন নুরুল। একপ্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক সাকিব। অপরপ্রান্ত থেকে স্টিম রোলার চালান তিনি। অবশ্য খুব বেশিদূর যেতে পারেননি উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ক্যামেরন ডেলপোর্টের এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে ২৩ বলে ২টি চার-ছক্কায় ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নুরল। এর খানিক পরেই কাইরন পোলার্ড রানআউটে কাটা পড়লে ফের বিপাকে পড়ে ঢাকা।

সাকিব ও আন্দ্রে রাসেল সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠেন। ক্রিজে সেট হয়ে যান তারা। রীতিমতো চিটাগং বোলারদের ওপর তোপ দাগান। বলতে গেলে দুজনে স্টিম রোলার চালান। ফলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ঢাকা। কিন্তু রাসেল ফিরলে পাশার দান উল্টে যায়। অতিরিক্ত চড়াও হওয়ার খেসারত গুনে দাসুন শানাকার বলে ডেলপোর্টকে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ফেরার আগে ২৩ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন ক্যারিবীয় হিটার।

নিজভূমে নিজেদের হারিয়ে খোঁজা চিটাগং ভাইকিংস চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের মুখোমুখি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। শুভসূচনা এনে দেন মোহাম্মদ শাহজাদ ও ক্যামেরন ডেলপোর্ট। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। সুনিল নারাইনের বলে নুরুল হাসানের স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা শাহজাদ। ফেরার আগে ১৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রান করেন তিনি।

দ্বিতীয় উইকেটে ইয়াসির আলিকে নিয়ে এগিয়ে যান ডেলপোর্ট। একপর্যায়ে জমে ওঠে তাদের জুটি। দুজনের মধ্যে বেশ বোঝাপড়া গড়ে ওঠে। ফলে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যায় চিটাগং। তবে আচমকা পথ হারান ইয়াসির। নারাইনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বির্চের হাতে ধরা পড়েন তিনি।  

রাসেলের হ্যাটট্রিকের পরও ফাইটিং স্কোর পেতে সমস্যা হয়নি চট্টলার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৪ রানের স্কোর গড়ে দলটি। ঢাকার হয়ে রাসের ৩টি ও নারাইন নেন ২ উইকেট।


NEWS24▐ Kamrul 

সম্পর্কিত খবর