সম্প্রতি জনতার চাপে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার দাবিতে চলা সহিংস বিক্ষোভের মধ্যে ঢাকা ছেড়ে দিল্লির কাছে অবতরণ করেন তিনি। তার পর থেকে তিনি কোন দেশে আশ্রয় নেবেন, তা নিয়ে এখনও চলছে জল্পনা-কল্পনা। ঢাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ৭৬ বছর বয়সী এই নেতা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই শেখ হাসিনার আশ্রয় ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামির সাথে বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামির সাথে কথা বলেছেন। তাঁরা বাংলাদেশ এবং পশ্চিম এশিয়ার উন্নয়ন সম্পর্কে কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির বাইরে তাঁর বিশেষ কিছুই বলার নেই। হাসিনার পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়েও কিছু জানা নেই। সেই পরিকল্পনা তাঁকেই ঠিক করতে হবে। স্পষ্টতই, এই সন্ধিক্ষণে ভারত অতি সতর্ক।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের একজন নাগরিক এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির একজন রাজনীতিবিদ ও কিয়ের স্টারমার সরকারের একজন মন্ত্রী। তাই তিনি ঢাকা থেকে যাওয়ার পরপরই একাধিক প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, তিনি যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর এনডিটিভিকে বলেছে, ব্রিটিশ অভিবাসন বিধিতে আশ্রয় বা অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য ব্যক্তিদের সে দেশে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয় না। স্বরাষ্ট্র দপ্তর আরো বলেছে, ‘যুক্তরাজ্যের এমন লোকদের জন্য সুরক্ষা প্রদানের একটি গর্বিত রেকর্ড রয়েছে যাদের এটি প্রয়োজন। তবে কাউকে আশ্রয় বা অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করার অনুমতি দেওয়ার কোনো বিধান নেই। ’
সূত্রঃ এনডি টিভি
news24bd.tv/JP