গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি সদ্য বিলুপ্ত সংসদের সদস্য ও মন্ত্রীও ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) পদত্যাগের বিষয়টি বোর্ডের একজন পরিচালককে অবহিত করেন তিনি। এসময় তিনি বোর্ড সংস্কারের পক্ষে রাজি আছেন বলেও জানিয়েছেন।
পাপন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন পরিচালক এখনো সামনে আসছেন না। এ অবস্থায় সংকট তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বিসিবির ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করার চেষ্টা চলছিলো বিগত কয়েকদিন ধরেই, এর মধ্যেই জানা গেছে- বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে রাজি হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন।
সংবাদমাধ্যম বিসিবি সূত্রে জানা যায়, একজন পরিচালককে নিজের এই ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এক্ষেত্রে কয়েকটি বিকল্প পথ রয়েছে। বর্তমানে যে পরিচালকরা আছেন, তাদের মধ্যে থেকে একজন সভাপতি বেছে নেওয়া সম্ভব। এ প্রক্রিয়ার জন্য অন্তত ৯ জন পরিচালককে সভায় উপস্থিত থাকতে হবে। সংখ্যায় এতোজন পরিচালক এখনও সরব আছেন।
যদি তাদের সরকারের পক্ষ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা নেমে আসতে পারে। এক্ষেত্রে একযোগে পদত্যাগ করতে পারেন বিসিবির সব পরিচালক। তখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড তৈরি করা হবে, যাদেরকে বেধে দেওয়া হতে পারে নির্বাচন আয়োজনের সময়সীমা।
যদিও আসন্ন অক্টোবরে বাংলাদেশের মাটিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা রয়েছে। সেজন্য এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে যেনো কোনো বাধা না আসে সেদিকেই এখন বোর্ডের নজর।
সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, বিসিবির সব পরিচালক একসঙ্গে পদত্যাগ করলে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে, বিশ্বকাপও চলে যেতে পারে ভিন্ন দেশে। সেজন্য এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে কাজ করছেন বিসিবির সংশ্লিষ্টরা।
news24bd.tv/SC