ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কখনও এ কৃতিত্ব জাহির করতে চান নি। কারণ মুক্তিযুদ্ধকে তিনি পুঁজি বানান নি, তিনি চেয়েছেন ত্যাগের মহিমায় মুক্তিযুদ্ধকে সমুজ্জ্বল রাখতে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ীরা যখন মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের কৃতিত্বের বয়ান দিয়ে দিয়ে ব্যাংক ডাকাতি, লুটপাট, খুন, গুম, অপহরণ, শেয়ার কেলেংকারীসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত তখন তিনি লজ্জায় মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা কখনো প্রচার করেন নি।
দেশ স্বাধীনের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। সে সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য বিভিন্নজনের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন এবং ঐ টাকা ভারতে মুক্তিকামী যোদ্ধাদের জন্য প্রেরণ করতেন। এসময় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে স্থপতি এফ আর...
ক্রনিকল অব অ্যা ডেথ ফোরটোল্ড মার্কেজের বিখ্যাত উপন্যাস। গল্পটি শুরুই হয় ঐ ডেথ দিয়ে। তারপর উজিয়ে উজিয়ে আগের কাহিনি বলেন লেখক।
সহকারী কমিশনারটি প্রফেসর ইউনুস এবং আবু সাইদ সম্পর্কে যা বললেন, এটা প্রকৃতপক্ষে সুইসাইড নোট। ফেসবুকে অনেকেই এর আগে লাইভ সুইসাইড করেছে। নতুন না। এখন মার্কেজের মত উজিয়ে উজিয়ে আমরাও জানবো কেন এই বিবৃতি উনার জন্য অবশ্যম্ভাবী ছিল।
সব আত্মত্যাগেরই মহিমা সমান হয় না। আবু সাইদের আত্মত্যাগে দেশ ফ্যাসি মুক্তি পেয়েছে। তাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া এই সহকারী কমিশনার কেবল দিনদুয়েকের জন্য ভাইরাল থাকবেন।
তবে একটা এলার্ম বেল বাজছে কোথাও: বিগত সরকারের দোসরদের মধ্যে আমলারাই কম বিপন্ন হয়েছেন। আন্দোলনের পক্ষে মিছিল করায় মালয়েশিয়ায় বাঙালি ছাত্র-শ্রমিকদের বিরূদ্ধে মামলা দেয়া সেই হাই কমিশনারকে শাস্তিস্বরূপ পোল্যান্ডে...
স্বাধীনতার মেনিফেষ্টো
আপনি মুসলিম, এদেশে মেজোরিটি। কিন্তু এই দেশটা সকল হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টানেরও। আপনার মতো ঠিক তাদেরও এই দেশে সকল অধিকার রয়েছে। আপনি মেজোরিটির জোরে তাদের উপর অন্যায়ভাবে কিছু চাপিয়ে দিতে পারেন না, কোনো অধিকার কেড়েও নিতে পারেন না।
আপনি শাড়ী পড়েন, ধুতি পরেন, টিপ পরেন, চুড়ি পরেন, জিন্স-প্যাণ্ট-শার্ট পরেনভালো। কিংবা আপনি বোরকা-হিজাব-জোব্বা পরেনভালো। কিন্তু তাই বলে আপনি একের রুচি-পছন্দকে তাচ্ছিল্য করতে পারেন না, নিজের রুচিকে অপরের উপর চাপিয়ে দিতে পারেন না, বাধ্য করতে পারেন না।
আপনি বাঙালী, এদেশে মেজোরিটি। কিন্তু সকল চাকমা, মারমা বা সাঁওতালেরও এই দেশটা। আপনার মতো ঠিক তাদেরও এই দেশে সকল অধিকার রয়েছে। আপনি মেজোরিটির জোরে তাদের উপর অন্যায়ভাবে কিছু চাপিয়ে দিতে পারেন না, কোনো অধিকার কেড়েও নিতে পারেন না।
আপনি যে দলেরেই হোন কিন্তু...
ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাটই খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির মূল কারণ। বিগত ১৫ বছরে প্রথমে হলমার্ক ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের নামে-বেনামে ব্যাংকঋণের মাধ্যমে অর্থ লুটপাট, পি কে হালদার, এস আলম গ্রুপ, দরবেশখ্যাত এফ সালমান রহমানের ব্যাংক জালিয়াতির মাধ্যমে লুটপাট, অর্থপাচার, অর্থ কেলেঙ্কারি সর্বকালের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তাঁদের কারণেই ব্যাংকগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, যা মোট ঋণ স্থিতির ১২.৫৬ শতাংশ।
এ সময় ব্যাংক খাতের মোট ঋণের স্থিতির পরিমাণ ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত...