ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে যমুনা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপারের চাপ বেড়েছে। ঈদের শেষ মুহূর্তে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু থেকে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ এবং এর বিপরীত ৬৪ হাজার ২৮৩ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। শুক্রবার (৬ জুন) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৪৩ হাজার ৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ৭০০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ২১ হাজার ২৮০ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল...

অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ও সড়কে একাধিক গাড়ি দুর্ঘটনা ও বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের করটিয়া থেকে সেতু পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার ভোরে মহাসড়কে ২৫কিলোমিটার এলাকাজুড়ে  যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত মহাসড়কের যমুনা সেতু থেকে করটিয়া পর্যন্ত অন্তত ২৫ কি.মি. রাস্তা জুড়ে থেমে থেকে যানজট রয়েছে। এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ শরীফ বলেন, এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। টোল প্লাজা থেকে এই যানজটের সৃষ্টি হয়।সেনাবাহিনী-পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিরসনে কাজ করছে। এখন মহাসড়ক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। News24d.tv/কেআই 

স্ত্রী জুবাইদা ফেরদৌস ইসরা ও একমাত্র সন্তান আয়েশাকে নিয়ে অটোরিকশায় ছিলেন সাজ্জাদ নূর মিঠু। চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেলসেতুতে ঘটে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা। তাদের অটোরিকশাটি সেতুর ওপর আটকে পড়ে আর ঠিক তখনই দ্রুতগতিতে উঠে আসে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন। মুহূর্তেই ওলটপালট হয়ে যায় সবকিছু। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে অটোরিকশায় থাকা অবস্থায় ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারায় নিষ্পাপ শিশুটি। মেয়েকে হারিয়ে নিঃশেষ বাবা মিঠুর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। বুকফাটা কষ্টে ভেঙে পড়া আয়েশার বাবা মিঠু বলেন, আমরা অটোরিকশায় ছিলাম। এটা একেবারে শেষে ছিল। আমাদের সামনে একটা টেম্পো ছিল। ট্রেনের চালক বারবার হর্ন দিচ্ছিলেন। লাইনম্যান ব্রিজের ওপর চলে আসে। টেম্পোটা ক্রস করে চলে যায়। কিন্তু আমাদের অটোরিকশা আটকে যায়। আমি জানি না এটা...

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার নৌ-রুটের পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ৪ কিলোমিটার পথ জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রী ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুটে ২৩টি ফেরি থাকলেও, বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল থেকে অতিরিক্ত যানবাহন আসার কারণে যানবাহন জমতে থাকে ঘাট এলাকায়। রাত তিনটার দিকে, যা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পরে। সে সময় যানজট ছড়িয়ে পরে ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। এতে ভোগান্তি বাড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। যাত্রীরা বলছেন, দীর্ঘ সময়, ঘাট এলাকা আটকে পড়ায়, চরম ভোগান্তি হচ্ছে। আলতাফ হোসেন নামের একটি যাত্রী জানান, রাত দুইটার সময় এখানে এসেছি, এখনো ঘাট পার হতে পারিনি। শফিক মিয়া জানান, ঈদ ঘাটেই করতে হয় কিনা, আল্লাহ জানেন। চরম ভোগান্তি হচ্ছে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে। রাজিব নামের আরেক যাত্রী জানান,...