রূপচর্চায় ব্যবহার করা যেতে পারে লবণ। তবে তার জন্য সাধারণ লবণ নয় বরং দরকার হবে হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট।
হিমালয় পর্বতশ্রেণী থেকে এই লবণের দেখা পাওয়া যায় বলে একে হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট বলা হয়। এই লবণটি গোলাপী রং-এর হয়ে থাকে।
এটি এক প্রকার খনিজ লবণ। পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ লবণ বলা হয় একে।
১ চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট তামার পাত্রে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি দিয়ে মুখ ধুলেই ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, ফিরবে লাবণ্য। সপ্তাহে মাত্র এক দিন ব্যবহার করলেও রুক্ষ, শুষ্ক ত্বকে প্রাণ ফিরবে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট মেশানো এই পানিকে বলা হয় ‘সো-লে’। এতে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রণ-সহ নানাবিধ খনিজ। খনিজ মিশ্রিত এই পানি ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।
এই লবণ শুধু ত্বকে লেগে থাকা তেল, ময়লা, ধুলো পরিষ্কার করে না, শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও কাজ করে। লবণের কারণে ব্যাক্টিরিয়া, জীবাণু দূরে থাকে। ছোটখাটো সংক্রমণও ঠেকিয়ে রাখে এই লবণ।
তাছাড়া লবণের দানা ত্বকের মৃত কোষ সরাতে সাহায্য করে। এটি অত্যন্ত ভাল প্রাকৃতিক স্ক্রাব। মৃত কোষ সরলেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
ত্বকে পিএইচের মাত্রা বজায় রাখতেও সাহায্য করে লবণের পানি।
লবণে থাকা সোডিয়াম ক্লোরাইড, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ পানি যেমন ত্বক থেকে দূষিত উপাদান বের করতে সাহায্য করে তেমনই ত্বককে আর্দ্রতা জোগায়, পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে। সূত্র: আনন্দবাজার
news24bd.tv/এসএম