সাগর-রুনি হত্যার ৭ বছর, শেষ হল না সেই ৪৮ ঘণ্টা

ছবি সংগৃহীত

সাগর-রুনি হত্যার ৭ বছর, শেষ হল না সেই ৪৮ ঘণ্টা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

দেখতে দেখতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার ৭ বছর পূর্ণ হলো আজ (১১ ফেব্রুয়ারি)। এই সাত বছরে ৬৩ বার সময় নিয়েও আদালতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি র‍্যাব।

তদন্তের এই ব্যর্থতা নিয়ে নিহত সাগর-রুনির পরিবার ও স্বজনেরা বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। যদিও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের খুঁজে বের করা হবে।

২০১২ সালের এইদিনে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসা থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় রুনির ছোট ভাই নওশের আলম রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে র‌্যাব এখন মামলাটি তদন্ত করছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ঠিক করেছেন আদালত।

এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামির সংখ্যা ৮ জন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

মামলায় যে আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল, তার মধ্যে দুজন জামিনে বেরিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
সাত বছরেও আলোচিত এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্তের কোনও কূল-কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তাই এ হত্যার সুবিচার পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা বেড়েই চলেছে স্বজন ও সহকর্মী সাংবাদিকদের মধ্যে।

রুনির ছোট ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছি। যদি কখনও বিচার সম্ভব হয় সেটি হবে অলৌকিকভাবে। কারণ হ্ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রভাবশালী কেউ জড়িত রয়েছে আর না হয় তদন্তকারী সংস্থার ব্যর্থতা রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) এএসপি সহিদার রহমান বলেন, আমি গত বছরের ১১ নভেম্বর মামলার তদন্তভার পেয়েছি। এ মামলা যারা আগে তদন্ত করেছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমরা তথ্যের ভিত্তিতে এগোচ্ছি। চেষ্টার কোনও ত্রুটি করছি না।


 

সম্পর্কিত খবর