গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়। এরপর দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে দফায় দফায় আন্দোলন কিংবা ধর্মঘট করতে দেখা যায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের। এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন বিনোদন অঙ্গনের দলবলও।
গতকাল রোববার থেকে শুরু হয়েছে তাদের এই কর্মসূচি। মূলত তিনটি দাবি নিয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা এবং ক্লায়েন্টদের বিরুদ্ধে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট ডেকেছেন তারা। শুধু তাই নয়, দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত তাদের এই ধর্মঘট কিংবা কর্মবিরতি চলবে।
দাবি তিনটি হলো-পূর্বের বকেয়া নিষ্পত্তি, সময়মতো কাজের আদেশ (ওয়ার্ক অর্ডার) দেওয়া এবং ৭৫ শতাংশ অগ্রিম অর্থ প্রদানের পর অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ বিলিংয়ের ৪৫ দিনের মধ্যে প্রদান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাডফিল্ম অ্যান্ড কনটেন্ট প্রডিউসারস (বিএএসিপি)। তাদের এই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে বিজ্ঞাপনচিত্র শিল্পের ১১ সংস্থা।
এ বিষয়ে ‘বিএএসিপি’র আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান তারেক বলেন, বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আমরা কয়েক দফা একসঙ্গে বসে আলোচনা করেছি। এরপর ই-মেইল করে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু কোনো সমস্যার সমাধান না হওয়ায় কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছি আমরা।
‘বিএএসিপি’র নেতাদের ভাষ্য, নতুন বাংলাদেশ যেহেতু ব্যাপক সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই বিজ্ঞাপনচিত্র শিল্পকেও সংস্কার করার এটাই উপযুক্ত সময়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
news24bd.tv/TR