নবীজি (সা.)-এর সাহাবিদের মধ্যে অন্যতম একজন মেধাবী সাহাবি ছিলেন যায়েদ বিন সাবিত (রা.)। তিনি বর্ণাঢ্য জীবনে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ সব খিদমত করেছেন। তিনি ছিলেন নবীজি (সা.)-এর ওপর নাজিল হওয়া ওহির লেখক, কিরাত ও ফারায়েজ শাস্ত্রের ইমাম; কোরআন সংকলনকারীদের প্রধান; মদিনার প্রধান মুফতি ও বিচারপতি। নবীজি (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের আগেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
রাসুল (সা.) যখন মদিনায় হিজরত করেন, তখন তাঁর বয়স ১১ বছর। ইসলাম গ্রহণের পর থেকেই কোরআন পড়া শুরু করেন। তাঁর মেধা ছিল অত্যন্ত প্রখর। রাসুল (সা.) হিজরত করে মদিনায় গেলে লোকজন তাঁকে রাসুল (সা.)-এর কাছে নিয়ে যান এবং বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ও বনু নাজ্জার গোত্রের বালক। ও আপনার ওপর নাজিল হওয়া ১৭টি সুরা হিফজ করে নিয়েছে। অতঃপর তিনি তা রাসুল (সা.)-কে পড়ে শোনালেন। রাসুল (সা.) অত্যন্ত আনন্দিত হলেন। অতঃপর বললেন, তুমি ইহুদিদের লেখা শিখে নাও।...
অন্যের দোষ খোঁজা ও প্রচার করা মুমিনের জন্য শোভনীয় নয়। আল্লাহ তাআলাও চান, বান্দা দোষ গোপন রাখার গুণে গুণান্বিত হোক। তাই যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের দোষ আড়াল করবে, কঠিনতম পরিস্থিতিতে আল্লাহ তার দোষ গোপন রাখবেন।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেন, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোনো বান্দার দোষ গোপন রাখে, আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (মুসলিম: ২৫১০, আহমদ: ২৭৪৮৪, ৮৯৯৫)
অন্যের দোষ গোপন রাখা একটি মহৎ গুণ। এর সুফল দুনিয়াতেই পাওয়া যায়। সবার কাছে সে বিশ্বস্ত প্রমাণিত হয়। অন্যদিকে যে ব্যক্তি অন্যের দোষ বলে বেড়ায়, সে সবার বিশ্বস্ততা হারায়। সম্পর্কও নষ্ট হয়। উত্তম চরিত্রের দাবি হলোঅন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা এবং কথাচ্ছলেও প্রকাশ না করা।
অথচ আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষের চারিত্রিক প্রবণতা হলো কারো গোপনীয় কথা ফাঁস করে দেওয়া। অনেকে তো যাচাই-বাছাই না করেই...
সাহিত্য এমন লেখনীযেখানে শিল্পের বা বুদ্ধিমত্তার আঁঁচ পাওয়া যায়। ইন্দ্রিয় দ্বারা জাগতিক বা মহাজাগতিক চিন্তা-চেতনা, অনুভূতি, সৌন্দর্য ও শিল্পের লিখিত বা লেখকের বাস্তব জীবনের অনুভূতি হলো সাহিত্য। সাহিত্যকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। আবার অনেকে বলেন, সাহিত্য মানবজীবনের আরশি। মানুষের মনন ও সুবোধ জাগিয়ে তোলা এবং সত্য ও সুন্দরের সন্ধান দেওয়া সাহিত্যের কাজ। কারণ, যা কিছু সত্য তা-ই সুন্দর। বাস্তবে সত্য ও সুন্দরের চর্চা এবং অনুসন্ধান করতে ইসলামী সাহিত্যের বিকল্প নেই। আরো স্পষ্ট করে বলা যায়যে সাহিত্য সত্য ও সুন্দরকে সুকুমারবৃত্তি ও বিশ্বাসদীপ্ত মননশীলতার মাধুরী মিশিয়ে উপস্থাপন করে তাই ইসলামী সাহিত্য। মোটকথা, ইসলামী সাহিত্য হলোইসলামী সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রভাবিত বা ইসলামকে চিত্রিত করে এমন সাহিত্য। পক্ষান্তরে যে সাহিত্যের চিন্তা-চেতনার উত্স হয়...
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দিন দিন ইন্টারনেট জগতে মানুষের বিচরণ বাড়ছে। সব বয়সী ও প্রায় সব পেশার মানুষই কম-বেশি ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। স্ট্যাটিস্টার তথ্য মতে, বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫.৪৫ বিলিয়ন। বাংলাদেশেও দিন দিন বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা। গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল, ১৩ কোটি এক লাখ। ২০২৪ এর শেষ দিকে এসে তার আরো বেড়ে যাওয়ার কথা।
ইন্টারনেট ব্যবহার যেমন দিন দিন বাড়ছে, তেমনি ইন্টারনেট কেন্দ্রিক অপরাধও দিন দিন বাড়ছে। ভার্চুয়াল জগতে তৈরি হয়েছে ভয়ঙ্কর সব অপরাধ গলির। যেখানে বিচরণ ঘটলে একটি মানুষ চার দেয়ালের ভেতর থেকেও অনেক বড় বড় অপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়তে পারে। তাই আমাদের উচিত, আমাদের সন্তানরা যেন, ইন্টারনেট জগতের এমন গলিতে প্রবেশ না করে, সে ব্যাপারে সতর্ক...