নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নারী অধিকারের কথা বিশ্বব্যাপী উচ্চারণ হলেও নারীরা প্রতিনিয়ত সহিংসতার শিকার এবং নানা ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। নারীরা রাস্তা ঘাটে ইভটিজিং ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রায়শই।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে কেবল একটি দিবস হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা চাই, সমাজের সবক্ষেত্রে নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত, বৈষম্যের অবসান, সহিংসতা বন্ধে রাষ্ট্রের কার্যকর পদক্ষেপ।
এজন্য যার যার অবস্থান থেকে সবাই মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই।আশা ইউনিভার্সিটিতে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে মানবাধিকার শিক্ষার মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, নারীর প্রতি সামাজিক নেতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি পরিহার করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা বা ধর্ষণের বিচারে আইনের জটিলতা নিরসন করতে হবে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলন, সাউথ এশিয়ান ল ইয়ার্স ফোরাম, ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল, এবং আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এই কর্মশালা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল আলম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রেহেনা সিদ্দিকা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ও এআইইউবি'র সহকারী অধ্যাপক লুৎফুন্নেসা সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার অদ্রিকা এষনা পূর্বাশা, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট জগলুল কবির, কাজী তামান্না ফেরদৌস, মানবাধিকার সংগঠক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক এনাম, ব্যারিস্টার সৈয়দা ফেরদৌস আহমেদ, লুনা খান।
রিসোর্স পারসন হিসাবে কর্মশালা পরিচালনা করেন ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক প্রোগ্রাম আবদুল্লাহ আল নোমান ও ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট অব হিউম্যান রাইটস এন্ড লিগ্যাল এডুকেশনের সাধারণ সম্পাদক ড. আবদুল্লাহ আল মনজুর হোসেন।
সবশেষে ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে প্রধান অতিথি সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)