ইসলাম সততা, নৈতিকতা ও নিষ্কলঙ্ক জীবনযাপনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। সততা শুধু ব্যক্তি জীবনে নয়, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সাফল্য এবং শান্তির এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। সততা একটি মৌলিক নৈতিক গুণ, যা ইসলামে অত্যন্ত প্রশংসিত। এ সম্পর্কে পবিত্র আল কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, এবং সত্যই, তুমি যদি সত্ থাকো, আল্লাহ তোমাদের জন্য একটি পথ খুলে দেবেন এবং তোমাদের অবস্থা ভাল করে দেবেন। (সুরা আত-তাহরিম, আয়াত : ২) এ আয়াতে কারিমার মাধ্যমে জানা যায় যে সততা ঈমানের অঙ্গ এবং আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য বিভিন্ন আশীর্বাদ প্রদান করেন। কোরআনে আল্লাহ রব্বুল আলামিন সততার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন এবং সততার মাধ্যমে একাধিক পুরষ্কার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যেমন হাদিসে এসেছে নবী করিম (সা.) বলেছেন, সততা পুরুষকে ন্যায় এবং ন্যায় পুরুষকে জান্নাতে পৌঁছায়। (মুসলিম, হাদিস :...
ইসলামে সততার পুরষ্কার
মো. আব্দুল ওহাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
সালাম বিনিময়ের সঠিক নিয়ম
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
নিজস্ব প্রতিবেদক
সালাম ইসলামী সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মহানবী (সা.) মুসলিম সমাজে সালামের প্রসার ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সালাম বিনিময়ের ক্ষেত্রে কিছু ভুল পরিলক্ষিত হয়, যা সালামের মাহাত্ম্য নষ্ট করে। সালাম বিনিময়ে যে ভুল হয় ১. সালাম পাওয়ার অপেক্ষা করা : বহু মানুষের ধারণা ছোটরা ও অধস্তনরা সালাম দেবে এবং তারা উত্তর দেবে। তাই তারা অন্যের সালামের অপেক্ষা করে। ইসলামের শিক্ষা হলো বড়রাও ছোটদের সালাম দেবে; বরং যেকোনো বয়সের মানুষ আগে সালাম দিয়ে মর্যাদা লাভের চেষ্টা করবে। ২. সালাম শুনেও উত্তর না দেওয়া : কখনো কখনো অপছন্দের মানুষ সালাম দিলে ব্যক্তি তার উত্তর প্রদান করে না। অথচ অপছন্দনীয় ব্যক্তির সালামের উত্তর দেওয়াও ওয়াজিব। ৩. সালামের উত্তর দিয়ে আবার সালাম দেওয়া : উত্তম হলো ব্যক্তি আগে সালাম দেবে। কিন্তু কেউ যদি সালাম দিয়ে ফেলে তবে শুধু সালামের উত্তর দেওয়াই দায়িত্ব।...
মুসলিম ব্যবসায়ীর যেমন গুণ থাকা উচিত
মুফতি মাহমুদ হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলাম ব্যবসাকে নিছক একটি দুনিয়াবি কাজ হিসেবেই দেখে না, বরং তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত গণ্য করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সত্যবাদী, আমানতদার ব্যবসায়ী কেয়ামতের দিন নবী, সিদ্দিক (উঁচু স্তরের সত্যবাদী) ও শহীদদের সঙ্গে হাশরের মাঠে উঠবে। (তিরমিজি, হাদিস : ১২০৯)এর চেয়ে বড় সুসংবাদ একজন মুসলিম ব্যবসায়ীর জন্য হতে পারে না। কেয়ামতের মাঠে আম্বিয়ায়ে কেরাম, সিদ্দিক ও শুহাদায়ে কেরামের সাথে থাকবেএর চেয়ে আর বড় পাওয়ার কী আছে? নবীজি (সা.) নবুয়তপূর্ব কালে সর্বোত্তম ব্যবসায়ী ছিলেন নবীজি (সা.) স্বয়ং নবুয়তের গুরুদায়িত্ব লাভের পূর্বে ব্যবসা করেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, মক্কা বিজয়ের দিন নবী করিম (সা.) মক্কা শরিফে কোথাও উপবিষ্ট ছিলেন। এমতাবস্থায় এক ভদ্রলোক এসে বলল : আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন? আমি আপনার সাথে এক সময় ব্যবসা করেছিলাম। ওই লোক তখনো ইসলাম গ্রহণ করেনি। নবী করিম (সা.) তাকে...
কেয়ামতের দিন যাদের শাস্তি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ
মুফতি ইবরাহিম সুলতান
নিজস্ব প্রতিবেদক
আখেরাত হলো মানুষের চূড়ান্ত গন্তব্য। যেখানে তার ইহজীবনের প্রতিটি কাজের বিচার হবে। ভালো কাজের পুরস্কার জান্নাতের চিরস্থায়ী নেয়ামত আর মন্দ কাজের শাস্তি জাহান্নামের ভয়াবহ আগুন। এই বিশ্বাস মানুষকে সত্ পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে এবং পাপ থেকে বিরত রাখে। আখেরাতের এই পুরস্কার ও শাস্তি আমাদের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে দেয় এবং নৈতিক চরিত্র গঠনে সহায়তা করে। তাই এই প্রবন্ধে কেয়ামতের দিন মন্দ কাজের শাস্তির নমুনা হিসেবে কয়েকটি হাদিসের ভাষ্য তুলে ধরা হলো, যা পাঠককে মন্দ কাজের পরিণতি সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করবে। মিথ্যা অপবাদ ও সম্পদ আত্মসাত্রে ভয়াবহ শাস্তি আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা কি জানো নিঃস্ব কে? তারা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে নিঃস্ব হচ্ছে ওই ব্যক্তি, যার নগদ অর্থ নেই, কোনো সম্পদও নেই। রাসুল (সা.) বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে ওই...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর