বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম মির্জাপুর শাহী মসজিদ। নির্মাণ সালে মতপার্থক্য থাকলেও ধারণা মতে প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো এ মসজিদটি দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের আটোয়ারি উপজেলায় অবস্থিত।
তথ্যমতে, মির্জাপুর শাহী মসজিদটি ১৬৫৬ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে কে নির্মাণ করেছেন এটি নিয়ে ঐতিহাসিক মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, মালিক উদ্দিন নামে মির্জাপুর গ্রামেরই এক ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেন। এই মালিক উদ্দিন মির্জাপুর গ্রামও প্রতিষ্ঠা করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
আবার কেউ কেউ মনে করেন, দোস্ত মোহাম্মদ নামে জনৈক ব্যক্তি মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ধারণা করেন, মুঘল শাসক শাহ সুজার শাসনামলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই মসজিদের আশপাশের মুসল্লীরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারেন। এবং সেই সাথে...
হাফসা বিনতে আব্দুর রহমান (রহ.)। রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক প্রেরিত হজের কাফেলার প্রথম আমির ও ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর (রা.)-এর নাতনি। তাঁর জৈষ্ঠ ছেলে আব্দুর রহমান (রা.)-এর মেয়ে। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.)-এর অতি প্রিয় ভাতিজি। মায়ের দিক থেকে উম্মুল মুমিনিন উম্মে সালামা (রা.)-এর ভাগিনী। ছোট সময় থেকে তিনি এই মহান ব্যক্তিদের মাঝে বেড়ে উঠেন। ফলে বংশগতভাবে অর্জিত গুণাবলির পাশাপাশি উত্তম দীক্ষায় তিনি শ্রেষ্ঠ নারী তাবেঈ হিসেবে পরিণত হন।
হাফসা বিনতে আব্দুর রহমান তাঁর ফুফু উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.)-এর কোলেই লালিতপালিত হন। আয়েশা (রা.) স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে তাঁকে বড় করে তোলেন। আদরের এই ভাতিজির বয়স অনুপাতে প্রতিটি প্রয়োজন পূরণে তিনি সদা তত্পর ছিলেন। হাফসা যখন বড় হন, তখন তিনিই তাঁকে বিবাহ দেন। বিবাহের পাত্র হিসেবে বেছে নেন তাঁরই বোন আসমা (রা.)-এর ছেলে কুরাইশদের প্রসিদ্ধ...
মহানবী (সা.) ইসলামের প্রচার ও সম্প্রসারণের জন্য শুধু আরব অঞ্চলে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তাঁর এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামি দাওয়াতের বার্তা পৌঁছানো, মানবতার মুক্তির বার্তা প্রচার এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা। মহানবী (সা.)-এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে তুলে ধরা হলো
চিঠিপত্র প্রেরণ
মহানবী (সা.) বিভিন্ন দেশের শাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন যাতে তারা ইসলাম গ্রহণ করেন। এই চিঠিগুলোতে ইসলামের মূল শিক্ষা ও শান্তির বার্তা তুলে ধরা হতো। উল্লেখযোগ্য চিঠিপ্রাপকদের মধ্যে ছিলেন :
রোমান সম্রাট হেরাক্লিয়াস,পারস্য সম্রাট খসরু পারভেজ ও মিসরের সম্রাট মুকাওকিস।
শান্তিপূর্ণ চুক্তি
রাসুল (সা.) বিভিন্ন গোত্র ও দেশের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছিলেন, যার অন্যতম...
ব্যক্তিগত জীবনের, পারিবারিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলের, এমনকি কর্মক্ষেত্রের নানা ঘটনায় মান-অভিমানে ভারী হয় মানুষের মন। কখনো কখনো এই মান-অভিমান সম্পর্কের ছেদ টেনে দেয়। ফলে অতি আপনজনের সঙ্গেও বন্ধ হয়ে যায় কথাবার্তা, যোগাযোগ ও মুখ দেখাদেখিও। ইসলাম মানুষের ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতিকে মূল্য দিলেও কিন্তু তা যখন সম্পর্কচ্ছেদের প্রশ্ন হয়ে ওঠে তাকে প্রশ্রয় দিতে বারণ করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কোনো মুসলমানের জন্য বৈধ নয় যে, সে তার ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের অধিক সময় সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে থাকবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬০৭৬)
আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক:
হাদিসবিশারদরা বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মুসলমানের সঙ্গে কথা বন্ধ করার ব্যাপারে তিন দিনের অবকাশ দিয়েছেন যেন মানুষ তার রাগ, ক্ষোভ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পায়। হাদিসের শিক্ষা হলো, মানুষের আবেগকে মূল্যায়ন করতে হবে। তবে তা যদি...