সিরিয়ার স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন । এরপর কী হবে এই প্রশ্ন দেশটির সবার কাছে। সিরিয়ায় এই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামের একটি ইসলামিক সশস্ত্র গোষ্ঠী বলছে, অন্ধকার যুগের অবসান হলো , আলোর দিকে যাচ্ছি আমরা। কিন্তু দেশটির অনেক সাধারণ মধ্যপন্থী মানুষের মনে প্রশ্ন , তারা কী দেশকে সত্যি আলোর মুখ দেখাবে ? তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা হুগো ব্যাচেগা বলেছেন, আসাদ বিদায় নেওয়ায় বহু মানুষ খুশি কিন্তু এরপরই একটি প্রশ্ন নিশ্চিতভাবে আসবে যে এরপর কী হবে। কারণ রয়েছে । রয়টার্স ও বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামপন্থী বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত এইচটিএস- যাদের রুট হলো আল-কায়েদা। বহুবছর ধরেই তারা নিজেদেরকে জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে পরিচিত করানোর চেষ্টা করছে। তবে...
সিরিয়ার জন্য কী অপেক্ষা করছে?
অনলাইন ডেস্ক
আসাদ সরকার হটানোর মাস্টারমাইন্ড, কে এই আল-জুলানি?
অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। গত চার বছর ধরে সংঘাত অনেকটা স্থবির অবস্থায় থাকলেও, গত সপ্তাহে সিরিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ শুরু করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এইচটিএস-এর নেতৃত্বে অপ্রত্যাশিত আক্রমণের মাধ্যমে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং দেশটির সেনাবাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করে। সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এইচটিএস গোষ্ঠীটির প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি। আবু মোহাম্মদ আল-জুলানিকে বাশার আল-আসাদ সরকার পতনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। গত সোমবার রাশিয়ার হামলায় আল-জুলানি নিহত হয়েছেন বলে একটি খবর প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে বোঝা যায়, সেটি ছিল মিথ্যা খবর প্রচার করে আন্দোলন দমানোর...
শুরুতে ছিল শান্তিপূর্ণ, ক্রমশ রূপ নিল যুদ্ধে
অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রবল চাপের মুখে অবশেষে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে নিজস্ব বিমানে করে তিনি দেশ ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় টানা ৫৪ বছরের আল-আসাদ পরিবারের শাসন শেষ হলো। ২০১১ সালে প্রথম বাশারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমেই ২০২৪ সালে শেষ সময়ে এসে সিরিয়ায় অবসান হলো আসাদ রাজত্বের। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ১৩ বছরে প্রাণ হারিয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছে কোটি কোটি মানুষ। এই সংঘাত পুরো দেশকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। ১৩ বছরেরগৃহযুদ্ধের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিবরণ: মার্চ ২০১১ দামেস্ক এবং দারা শহরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু বাশার আল-আসাদের সরকারের দমন-পীড়নের ফলে তা সহিংস বিদ্রোহে পরিণত হয়।...
বিদ্রোহীদের তোপের মুখে কীভাবে পালালেন আসাদ?
অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ঘোষণা করেছেন সিরিয়া এখন স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ মুক্ত। কারণ তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এর আগে বার্তাসংস্থা রয়টার্স সিরিয়ার দুইজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসাদ অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে গেছেন। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ গ্রুপ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, একটি ব্যক্তিগত বিমান দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে উড়ে গেছে এবং সম্ভবত এতেই প্রেসিডেন্ট আসাদ ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন তারা। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামের একটি ইসলামিক সশস্ত্র গোষ্ঠী এই অভিযানের নেতৃত্বে আছে তাদের টেলিগ্রাম হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, এর মাধ্যমে একটি অন্ধকার যুগের অবসান ঘটেছে, এবং এক নতুন যুগের সূচনা ঘটেছে। এইদিন দামেস্কের পথে পথে ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে উল্লাস করতে দেখা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর