এক সময় যেটিকে ধরা হতো সামান্য পেটব্যথা বা রুটিন সার্জারির বিষয়, সেই অ্যাপেনডিক্স এখন উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে উঠছে এক ভিন্ন পরিচয়েক্যানসার। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় অ্যাপেনডিক্সের সাধারণ অস্ত্রোপচার এখন আর ভয় পাওয়ার মতো কিছু নয়। কিন্তু কম আলোচিত অ্যাপেনডিক্স ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা এখনও অনেক পিছিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্তন, প্রস্টেট কিংবা কোলন ক্যানসারের মতো পরিচিত না হলেও অ্যাপেনডিক্স ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে, বিশেষ করে কম বয়সীদের মধ্যে। এ কারণেই সময় এসেছে এই রোগ নিয়েও সচেতন হওয়ার। যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের গবেষকেরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, সম্প্রতি কমবয়সীদের মধ্যে অ্যাপেনডিক্স ক্যানসারের হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। এর পেছনে মূলত দায়ী অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং পরিবেশ থেকে শরীরে প্রবেশ করা...

সকালে তাড়াহুড়ো করে নাশতা না করা কিংবা কেবল একটি সিদ্ধ ডিম খেয়েই অফিসে চলে যাওয়া একটি সাধারণ অভ্যাস। অনেকে আবার দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার কারণে সকালের নাশতাকে তেমন গুরুত্ব দেন না, চা-বিস্কুট বা একটি ডিম দিয়েই সেরে ফেলেন। তাদের ধারণা, ডিম যেহেতু খাচ্ছেন, শরীরে হয়তো প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাস দ্রুত পরিবর্তন না করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট ও ভিটামিন থাকলেও, এতে ফাইবারের অভাব রয়েছে। এই ফাইবারের ঘাটতি যাদের উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা আছে, তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে শরীরে ফাইবারের অভাব কোষ্ঠকাঠিন্য ও কোলেস্টেরলের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে, যা হৃদযন্ত্রের সমস্যাও তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমে লুটেন ও...

দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়ার কাজটি করে লিভার। তবে ভুল খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অল্প বয়সেই অনেকেই লিভারের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু খাবার নিয়মিত খেলে লিভার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অতিরিক্ত তেল-ঝালযুক্ত ও ভাজা খাবার এই ধরনের খাবারে ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকে, যা লিভারের উপর প্রচণ্ড চাপ ফেলে। এই ফ্যাট লিভারে জমে গিয়ে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা তৈরি করে, যার ফলে লিভারে প্রদাহ ও ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায়। অত্যধিক চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কেক, পেস্ট্রি, কোল্ড ড্রিঙ্কস-এর মতো খাবার লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমিয়ে দেয় এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। আরও পড়ুন ৫ খাবারে দূর হবে পেটফাঁপা ও হজমের সমস্যা ১০ জুন, ২০২৫ অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এটি লিভারের সবচেয়ে বড়...

সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্য সচেতনদের খাদ্যতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে চিয়া বীজ। অনেকেই দিন শুরু করছেন চিয়া ভেজানো পানি, স্মুদি বা এমনকি চিয়া মেশানো অমলেট দিয়ে। সমাজিক মাধ্যমে চিয়া বীজের উপকারিতা নিয়ে চলা আলোচনায় এই বীজ এখন জনপ্রিয় সুপারফুড হিসেবেই পরিচিত। চিয়া বীজের রঙে পার্থক্য কেন? চিয়া বীজ মূলত দুই ধরনের হয়সাদা এবং কালো। সাদা বীজের রং হয় অফ-হোয়াইট বা ক্রিম রঙের, আর কালো বীজ সাধারণত গাঢ় কালো বা ধূসর হয়ে থাকে। এই রঙের পার্থক্য আসলে জিনগত, প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। পুষ্টিগুণে পার্থক্য কতটা? পুষ্টিগুণে সাদা ও কালো চিয়া বীজ প্রায় একই রকম হলেও কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। মলিকিউলস জার্নালের এক গবেষণা অনুযায়ী: কালো চিয়া বীজে প্রোটিন থাকে প্রায় ১৬.৯%, সাদা চিয়ায় এই পরিমাণ ১৬.৫%। ফাইবারের দিক থেকেও খুব বেশি তফাৎ নেই: কালো চিয়ায় ৩২.৬%, সাদা...