সুপ্রভাতের চালকের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ৮ দাবি

ছবি সংগৃহীত

সুপ্রভাতের চালকের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ৮ দাবি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক সপ্তাহের মধ্যেই বাসচাপায় প্রাণ ঝরেছে শিক্ষার্থীর। বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব প্রফেশনালস্ (বিউপি) এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাসের কবলে বলি হয়েছেন।

আর এ ঘটনার জেরে সড়কে বিক্ষোভ করছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ঘাতক বাসের চালকের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ৮ দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোডে রাস্তা পার হতে গিয়ে দু'টি বাসের মধ্যে পিষ্ট হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র আবরার আহমেদ।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের একটি বাস শিক্ষার্থীদের নিতে ওই এলাকায় আসে। বসুন্ধরা নিবাসী আবরার রাস্তার একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে নিহত আবরারের বাবাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি তার ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি। রাস্তার একপ্রান্তে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা আর আবরার রাস্তা পার হয়ে আরেক প্রান্তে গিয়ে বাসে উঠতে যাচ্ছিল।

এই ঘটনার পরপরই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মূল প্রবেশপথের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলেও শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে সরে আসবে না বলে জানায়। তারা এ সময় মিডিয়ার সামনে ৮ দাবি জানান।

দাবিগুলো হলো:
১. পরিবহন সেক্টরকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে। প্রতিমাসে বাস চালকের লাইসেন্সসহ সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করতে হবে।
২. আটক চালক ও সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৩. আজ থেকে ফিটনেস বিহীন ও লাইসেন্স বিহীন চালককে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
৪. ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সব স্থানে আন্ডার পাস, স্পিড ব্রেকার ও ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।
৫. সড়ক হত্যার সাথে জড়িত সবাইকে সর্বোচ আইনের আওতায় আনতে হবে।
৬. প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চলাচল বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থান বাসস্টপ ও যাত্রী ছাউনী করার জন্র যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭. ছাত্রদের হাফ পাস বা আলাদ বাস চালু করতে হবে।
৮. দায়িত্বে অবহেলাকারী প্রশাসন ও ট্রাফিক পুলিশকে স্থায়ী অপসারণ।  


এদিকে, রাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।
 

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর