নিউজিল্যান্ডের নারীরা ‘স্কার্ফ পরবেন’

স্কার্ফ পরিহিত নিউজিল্যান্ডের নারীরা

নিউজিল্যান্ডের নারীরা ‘স্কার্ফ পরবেন’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আজ আবার মসজিদ দুটি খুলে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে জুমআর নামাজ।

এদিন দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন (টিভি এনজেড) ও রেডিওতে (রেডিও এনজেড) জুমার নামাজের আজান সম্প্রচারের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে জাতীয়ভাবে পালন করা হবে দুই মিনিটের নীরবতা।

এদিকে মুসলমান নারীদের প্রতি সমর্থন জানাতে জুমআর দিন শুক্রবার একদিনের জন্য মাথা ঢেকে রাখবেন দেশটির সব নারী। ‘হেডস্কার্ফ ফর হারমনি’ নামে একটি সামাজিক আন্দোলনের আয়োজকরা এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।

খবর নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের।

এ ধারণা প্রথম আসে অকল্যান্ডের একজন ডাক্তার থায়য়া আশমানের মাথায়। ক্রাইস্টচার্চে হামলার পর একদিন তিনি টিভির খবর দেখতে পান যে একজন নারী বলছেন, ওই ঘটনার পর তিনি হিজাব পরে বাইরে বেরুতে ভয় পাচ্ছেন।

তিনি মনে করলেন- গোটা দেশের মুসলমান নারীদের জন্য কিছু একটা করা দরকার। এরই পথ ধরে 'হেডস্কার্ফ ফর হারমনি'র শুরু।

কিন্তু এই অনুষ্ঠানটি নিয়ে ইতোমধ্যেই হৈচৈ শুরু হয়েছে। এর পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলতে শুরু করেছেন অনেকে। এতে নারী অধিকারের অবমাননা হবে বলেও অনেকে বলাবলি করছেন।

অনেকেই বলছেন, এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নারীদের প্রতি অবিচার করা হবে এবং নারীরা যে পুরুষের অনুগত সেই বার্তাও দেওয়া হবে।

তবে অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলাম বিষয়ক একজন পণ্ডিত ড. যাইন আলী বলছেন, এই অনুষ্ঠানটি নিয়ে তিনি ভীষণভাবে গর্বিত। নিউজিল্যান্ডের মুসলমান নারীরাও অনুষ্ঠানটি নিয়ে গর্বিত হতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ডা. আশমান বলছেন, তিনি ঠিক হিজাব পরার কথা বলছেন না। তার বদলে নিউজিল্যান্ডের নারীরা যে কোনোভাবে কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে মুসলিমদের প্রতি সমর্থন জানালেই চলবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর