শিফা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন নারী মনীষা। তিনি ছিলেন একই সঙ্গে একজন মুহাদ্দিস, শিক্ষক ও চিকিৎসক এবং ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নারী বাজার পরিদর্শক। তাঁকে প্রথম মুসলিম নারী শিক্ষকও বলা হয়। মহানবী (সা.) কখনো কখনো শিফা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.)-এর বাড়িতে দিনের বেলা বিশ্রাম গ্রহণ করতেন। সেখানে তাঁর জন্য নির্ধারিত বিছানা ও পোশাক ছিল। তাঁর পুরো নাম হলো শিফা বিনতে আবদুল্লাহ বিন আবদুশ শামস বিন আদি (রা.)। তাঁর প্রকৃত নাম লায়লা এবং উপনাম উম্মে সুলাইমান। শিফা তাঁর উপাধি। কিন্তু তিনি উপাধিতেই প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তাঁর মা ফাতেমা বিনতে ওয়াহাব বিন আমর ও স্বামী মুহাম্মদ বিন সাআদ বিন মুনি হাশেমি। তিনি দুই সন্তানের জননী ছিলেন। তারা হলেন সুলাইমান ও মাসরুক (রহ.)। তাদের মধ্যে সুলাইমান (রহ.) মুহাদ্দিস এবং মাসরুক (রহ.) প্রশাসক ছিলেন। শিফা বিনতে...
প্রথম মুসলিম নারী বাজার পরিদর্শক
আলেমা হাবিবা আক্তার
![প্রথম মুসলিম নারী বাজার পরিদর্শক](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/01/21/1737398242-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg?w=1920&q=100)
না দেখে পণ্য কেনার বিধান
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
![না দেখে পণ্য কেনার বিধান](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/01/21/1737397923-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg?w=1920&q=100)
পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় তা উপস্থিত থাকাই উত্তম। তবে ইসলামী শরিয়তে পণ্য অনুপস্থিত রেখেও ক্রয় বিক্রয় করা যায়। পণ্য যদি অনুপস্থিত থাকে তখন সুস্পষ্টভাবে গুণ ও বৈশষ্ট্যি বর্ণনা করার দ্বারা কিনতে হয়। এটা বাইয়ে সালামের (অগ্রিম কেনা) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আবার গুণাগুণ বর্ণনা করা ছাড়াও কেনা যেতে পারে। তখন পণ্য যে স্থানে রাখা হয়েছে তার দিকে ইঙ্গিত করা হবে কিংবা এমন সম্পর্ক উল্লেখ করা হবে যার দ্বারা পণ্যটি অন্য বস্তু তেকে পৃথক হয়ে যাবে। তবে শাফেয়ি মাজহাব অনুসারে অনুপস্থিত পণ্যের ক্রয়-বিক্রয় বৈধ নয়। গুণ ও বৈশষ্ট্যি বর্ণনার মাধ্যমে যদি বিক্রি সম্পন্ন হয় এবং পণ্যটি দেখার পর বিবরণের সাথে তা মিলে যায় তবে ক্রয় করা আবশ্যক হবে। আর মিল পাওয়া না গেলে বেশির ভাগ ফকিহের মতে ক্রয়চুক্তি ভঙ্গ করার ইখতিয়ার থাকবে। যাকে ফিকহি পরিভাষায় খিয়ারুল খুলফ বলা হয়। হানাফি মাজহাব...
যেখানে ইবাদত করতেন জাকারিয়া (আ.)
আবরার আবদুল্লাহ
![যেখানে ইবাদত করতেন জাকারিয়া (আ.)](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/01/21/1737397757-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg?w=1920&q=100)
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত নবী-রাসুলদের অন্যতম জাকারিয়া (আ.)। কোরআনের একাধিক স্থানে তাঁর বর্ণনা এসেছে। আল্লাহ তাঁকে নেককার ও অনুগ্রহপ্রাপ্ত বান্দা হিসেবে উলে্লখ করেছেন। যেমন ইরশাদ হয়েছে, আর জাকারিয়া, ইয়াহইয়া, ঈসা ও ইলিয়াসকেও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম। তারা সবাই সজ্জনদের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা আনআম, আয়াত : ৮৫) অন্য আয়াতে জাকারিয়া (আ.)-কে মারিয়াম (আ.)-এর অভিভাবক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, অতঃপর তার প্রতিপালক তাকে (মারিয়াম) ভালোরূপে কবুল করলেন এবং তাকে উত্তমরূপে লালন-পালন করলেন এবং তিনি তাকে জাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে রেখেছিলেন। যখনই জাকারিয়া কক্ষে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে যেত তখনই তার কাছে খাদ্য-সামগ্রী দেখতে পেত। সে বলত, হে মারিয়াম! এসব তুমি কোথা থেকে পেলে? সে বলত, তা আল্লাহর নিকট থেকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ যাকে ইচ্চা অপরিমিত রিজিক দান করেন। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত :...
আদর্শ মুসলিশ শাসক উমর ইবনে আব্দুল আজিজ (রহ.)
মুফতি মাহমুদ হাসান
![আদর্শ মুসলিশ শাসক উমর ইবনে আব্দুল আজিজ (রহ.)](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/01/21/1737397165-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg?w=1920&q=100)
উমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) উমাইয়া খেলাফতের ৮ম খলিফা। সত্যনিষ্ঠা, খোদাভীরুতা ও ন্যায়-ইনসাফের কারণে মুসলিম উম্মাহ তাঁকে খোলাফায়ে রাশেদিনের মধ্যে গণ্য করে। তাঁকে ৫ম বা ষষ্ঠ খলিফায়ে রাশেদও বলা হয়। এছাড়াও তাঁকে দ্বিতীয় উমর বলেও স্মরণ করা হয়। শৈশব থেকে মদিনা নগরীতে মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠায় দৃঢ়তা ও শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব ছিল উমর ইবনে আবদুল আজিজ রহ.-এর প্রধান গুণাবলী। মদিনার গভর্নর নিযুক্তির মাধ্যমে শাসনকার্যের সূচনা ৮৭ হিজরিতে খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান উমর ইবনে আবদুল আজিজকে মদিনার গভর্নর নিযুক্ত করেন। ৯১ হিজরিতে তিনি তায়েফসহ পুরো হেজাজের গভর্নর হন। গভর্নর নিযুক্তির পর প্রথম দিনই তিনি মদিনার বিজ্ঞ আলেমদেরকে ডেকে বললেন: আপনারা আমাকে সত্ পথে চলতে সহযোগিতা করবেন, আমি আপনাদের পরামর্শ ছাড়া কোনো কাজ করবো না। আমার অধীনস্ত কোনো...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর