ব্যাটিং উইকেটে মাশরাফির বোলিং তাণ্ডব

ছবি সংগৃহীত

ব্যাটিং উইকেটে মাশরাফির বোলিং তাণ্ডব

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিকেএসপির মাঠগুলো ব্যাটিং স্বর্গ সেটা সবারই জানা। আজও তেমনই দেখা গেছে আবাহনী লিমিটেড আর গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স এর ম্যাচে। অথচ এই ব্যাটিং উইকেটকে পেছনে ফেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বোলার মাশরাফি!

লিস্ট ‘এ’ক্রিকেটে ষষ্ঠবারের মতো তুলে নেন ৫ উইকেট। শেষ ওভারে দুই উইকেট নিয়ে পূর্ণ করেন ৬ উইকেট।

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ টস জিতে আগে ব্যাট করতে পাঠায় প্রতিপক্ষ আবাহনীকে। ব্যাটিংয়ে নেমে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের উদ্বোধনটা ভালোই হয়। ১৪.৩ ওভারে প্রথম জুটি থেকে আসে ৬৬ রান।

সৌম্য সরকার ২৯ করে বিদায় নিলে ওয়াসিম জাফর এসে হাল ধরার চেষ্টা করেন জহুরুল ইসলাম অমির সঙ্গে।

যদিও টিকতে পারেননি এই ভারতীয়। মাত্র ১৯ রান করে বিদায় নেন নাসুম আহমেদের বলে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত এসে যোগ করেন ১১ রান। শান্তও শিকার নাসুমের। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অমির সঙ্গে লম্বা জুটি গড়েন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

অমি তুলে নেন লিস্ট ‘এ’ক্রিকেটের চতুর্থ শতক। মোসাদ্দেকও ব্যাট চালান সমান তালে। অর্ধশতক পূর্ণ করে ৭১ রানের মাথায় ক্যাচ তুলে দেন আবু হায়দরের বলে।

এরপর ৪৯ ওভার ৩ বলের সময় দলীয় ২৮০ রানের মাথায় ১৩০ রানের ইনিংসের ইতি টানেন জহুরুল। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান তুলতে পারে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

গাজী গ্রুপের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন আবু হায়ার আর পারচেজ রসুল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে করা মাশরাফি বিন মুর্তজার দ্বিতীয় বলেই উইকেট দিয়ে আসে রনি তালুকদার।
রনির শূন্য রানে বিদায়ের পর মাইশুকুর রহমান আর ইমরুল কায়েস গড়েন ৫৩ রানের জুটি। ১০ ওভার ৩ বলের মাথায় ১৫ রান করা মাইশুকুরকেও ফেরান মাশরাফি।

৩০ রানে শামসুর রহমান রান আউটে কাটা পড়লেও ইমরুল কায়েস তুলে নেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ১০তম শতক। শেষ পর্যন্ত মাশরাফির বলেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১১৮ বলে ১২৬ রান করে। এরপর তৌহীদ তারেকের ৩৯ রান ছাড়া কেউই পার করতে পারেনি ২০ রানের কোটা।

একে একে তৌহীদ তারেক, মেহেদী হাসান আর কামরুল ইসলামকে ফিরিয়ে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক। ৪৮ ওভার ৪ বলে ২৫৭ রানেই থেমে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ২৯ রানের জয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষেই থেকে গেল আবাহনী লিমিটেড।

আবাহনীর হয়ে মাশরাফি নেন ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট। এছাড়া ২টি নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আর ১টি উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর