বালা হত্যা: পাঁচ আসামির রিমান্ডের আবেদন

খুলনায় ঠিকাদার মিজানুর রহমান বালা হত্যা

বালা হত্যা: পাঁচ আসামির রিমান্ডের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় ঠিকাদার মিজানুর রহমান বালা (৫০) হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

শনিবার খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। এদের প্রত্যেকে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি। খুলনার থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা বিপ্লব কান্তি দাস এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আগামীকাল রিমান্ড শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। আসামিদের রিমান্ডে আনা গেলে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে। এদিকে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাতে নিহতের স্ত্রী সারা রহমান বাদি হয়ে খুলনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় নিহতের ছোট ভাই সাবেক যুবলীগ নেতা এসএম মেজবাহ হোসেন বুরুজের স্ত্রী সাবিহা খাতুনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর কয়েকদফা সাবিহা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রতিবার তিনি অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়েছেন। এছাড়া নিহত বালার পরিবারের প্রধান সন্দেহের তালিকায় ছিলেন তিনি। বুরুজ মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া বিপুল অংকের টাকার কাজ মিজানুর রহমান বালা দেখা শোনা করতো। এনিয়ে পরিবারের মধ্যে ঝামেলা ছিল। এসব নিয়ে কয়েকমাস আগে বালাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। মূলত ব্যবসায়ীক লেনদেন নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। এজাহারেও এই বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

নিহতের আরেক ভাই আব্দুর রশীদ জানান, মামলায় বুরুজের স্ত্রী সাবিহা খাতুন শিপু, সজিব হাসান সাথী, মোস্তফা হোসেন সোনা, ফয়সাল ও মাসুদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বুরুজের স্ত্রী সাবিহা খাতুন মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক।

উল্লেখ্য, বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরীর বাগমারায় নিজ বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বালা নিহত হয়। তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সানি এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী। একই সঙ্গে তিনি ছোট ভাই বুরুজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দেখাশুনা করতেন।  

নিহতের স্ত্রী সারা রহমান অভিযোগ করেন, তার দেবর এসএম মেজবাহ হোসেন বুরুজের মৃত্যুর পর তার স্বামী ঠিকাদারি ও ব্যবসা পরিচালনা করতেন। এ নিয়ে বুরুজের স্ত্রী সাবিহা খাতুনের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে হত্যকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও ব্যবসায়িক বিরোধকে সামনে রেখে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/শাহীন/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর