ব্রুনাইয়ে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

ব্রুনাইয়ে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ব্রুনাইয়ে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এমন একটি আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে দেশটি। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নাস্তিক লেখক রিচার্ড ডকিন্স উপহাস করে।

ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বোলকিয়াহ তার দেশে সমকামিতার শাস্তি হিসেবে পাথর নিক্ষেপ এবং বেত্রাঘাতের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের বিধান প্রচলন করছেন।

এমন খবর বার্তা সংস্থা ভাইস নিউজের বরাতে ছড়িয়ে পড়লে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের এই অধ্যাপক এর সমালোচনা এবং বিরোধিতা করেন।

ডকিন্স নিজের পশ্চিমা উদারনৈতিক ভণ্ডামিমূলক মতামত তুলে ধরে ব্রুনাইয়ের ইসলামি সরকারের সমালোচনা করেন। তার এসব মন্তব্য সমকামী সংগঠন বা ‘LGBTQ’ এর সদস্যরা স্বাগত জানিয়েছে।

‘The God Delusion’ নামক বইয়ের এই লেখক বিভিন্ন ধর্মের বিশেষত ইসলামের সমালোচনা করার জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত এবং তিনি একজন নামকরা নাস্তিক।

সমকামীদের জন্য ব্রুনাইয়ের মৃত্যুদণ্ডের বিধান প্রণয়নের কারণ হিসেবে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘তারা পবিত্র কুরআনে লিখিত আল্লাহর আদেশ মানতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ’

ডকিন্স এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমি ক্যান্সারকে ঘৃণা করি। আমি জানি তোমরাও ক্যান্সার দ্বারা আক্রান্তদের ঘৃণা কর। আর এর প্রধান শিকার ইসলাম এবং মুসলিমরা। বিশেষত নারী এবং সমকামীরা। ’

ডকিন্সের এমন টুইটের পরে অনেকে ইসলামের সাথে ক্যান্সারের তুলনা করায় তার ব্যাপক সমালোচনা করেন। আবার তার অনেক সমর্থনকারী ডকিন্সের এমন মন্তব্যের জন্য তাকে স্বাগত জানায়।

‘The Hostage's Daughter: A Story of Family, Madness, and the Middle East’ নামক বইয়ের লেখক লেবাননের বৈরুত ভিত্তিক সাংবাদিক সুলোমে এ্যান্ডর্সন বলেন, ‘জনাব ডকিন্স, অন্যান্য ধর্মের মত ইসলাম ধর্মও কোনো ক্যান্সার নয়। ’

তিনি আরো বলেন, ‘আসল ক্যান্সার হচ্ছে ঔপনিবেশিক মতবাদ যা অর্থনৈতিক ভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী যাবত ইসলামি দেশ সমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এভাবে তারা এসব ইসলামি দেশের গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে আর আপনার মত শ্বেতাঙ্গদের রক্ষাকারীরা ক্যান্সারের উৎপাদন করছেন। ’

এর পূর্বে ২০১৭ সালের জুন মাসে যুক্তরাজ্যের ‘Cheltenham Science Festival’ এ দেয়া এক বক্তব্যে ইসলামের সমালোচনা করে ডকিন্স বলেন, ‘অন্য যে কারো চাইতে ইসলাম দ্বারা ব্যক্তি মুসলিম বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ’ এমনকি ডকিন্স ইসলাম ধর্মকে বিশ্বের সবচেয়ে শয়তানি ধর্ম বলে মন্তব্য করে। তার এমন মন্তব্যের পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি কলেজ ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়।

সূত্র: নিউজউইক ডট কম।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর