পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ঢাকা মহাসড়ক দখল করে চলছে পাথর বালির ব্যবসা। জেলার জগদল বাজার থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে পাথর বালির স্তুপ করা হয়েছে। ফলে মহাসড়কটি এসব এলাকায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে এসব এলাকায় দিন দিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
জেলার জগদলবাজার থেকে ভজনপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তাকে দুর্ঘটনা প্রবল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপরও প্রশাসনের চোখের সামনেই দখল হয়ে আছে মহাসড়ক।এশিয়ান মহাসড়ক নামে পরিচিত এই সড়কে প্রতিদিন প্রায় দশ হাজার মোটর যানবাহন চলাচল করে। জেলার শেষ সীমান্ত জিরো পয়েন্টে অবস্থিত চতুর্দেশিয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় প্রতিদিন কয়েক লাখ টন পাথর আমদানী হয়ে থাকে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করছে এমন একটি সংগঠন সচেতন নাগরিক সমাজের মুখপাত্র আইনজীবী জিল্লুর রহমান জানান, প্রতিমাসেই মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী অসাধু ব্যবসায়ী মহাসড়ক দখল করে ব্যবসা করছে। তাদের দেখাদেখি আরও অনেকেই মহাসড়ক দখল করছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের জরুরী উদ্যোগ দরকার।
রনচন্ডি এলাকার বালি পাথর ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, এই ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসব ব্যবসা করছে। পত্রিকায় লিখলেও কোনো লাভ নেই।
তেঁতুলিয়া হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই। গত কয়েকমাস আগে বাংলাবান্ধায় সকল ব্যবসা বন্ধ করে তিরিশ ফিট রাস্তাবের করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বেপোরোয়া। মহাসড়ক দখলমুক্ত করতে হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় অধিবাসিদের এগিয়ে আসতে হবে।
পঞ্চগড় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের লোকবল কম। আমরা মহসড়ক দখলমুক্ত করতে ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়েছি। কিন্তু সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করতে হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা প্রয়োজন।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানিউল ফেরদৌস জানান, এ ব্যাপারে প্রথমত সড়ক ও জনপথ বিভাগকে উদ্যোগী হতে হবে। তারা লিখিতভাবে চাইলেই আমরা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে পারি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/হায়দার/তৌহিদ)