‘পাহাড়ে হত্যাকাণ্ডের পথ পরিহার করুন’

মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।

‘পাহাড়ে হত্যাকাণ্ডের পথ পরিহার করুন’

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হত্যাকাণ্ডের পথ পরিহার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।

রোববার দুপুর ১২টায় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, যারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে পাহাড় অশান্ত করে তুলেছেন, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা সংঘাতেরর পথ পরিহার করুন। অনাকাঙ্খিত সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বেড়িয়ে আসুন।

নিজেরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন। অন্যদেরকেও নিরাপদে বসবাস করার সুযোগ দিন। অস্ত্র দিয়ে প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে রক্তপাত করে কোন দিন নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। কিন্তু শান্তি বিনষ্ট করে কেউ পার পায় না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, সুন্দরবনের জলদস্যু, বাংলা ভাইদের জঙ্গিরা, কক্সবাজারেরর ইয়াবা ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। কারণ সহিংসতাকারী বেশিদিন নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারে না। তাই  আপনারাও এ রক্তপাতের পথ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন।

এসময় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলাল উদ্দিন, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক, বিজিবির খাগড়াছড়ি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গাজী মোহাম্মাদ সাজ্জাদ, ২৭ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহাবুবুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক সহিদুল ইসলাম, রাঙামাটি পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আহমারউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় শেষে সাত নিহতের পরিবারকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ও আহত ১৯ জনকে এক লাখ টাকা এবং সাধারণ আহত ১৪ জনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে চেক প্রদান করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ সোমবার দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে দিনভর দায়িত্বপালন শেষে নির্বাচনী সরঞ্জামসহ উপজেলার সাজেকের কংলাক, মাচালং, বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ছেড়ে গাড়িবহর নিয়ে উপজেলা সদরে ফিরছিলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের দল। দিঘীনালা-মারিশ্যা সড়কের ৯ কিলোমিটার নামক এলাকায় পৌঁছা মাত্র নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বহনকারী জিপগাড়ি লক্ষ্য করে অতর্কিত এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহত হয় সাতজন। আর আহত হয় প্রায় ৩৩ জন। আহতদের মধ্যে ১৯জন ঢাকা ও চট্টগ্রামে সেনা সিএমএইচ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/মুমু/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর