ইসলামে শবে বরাত একটি অত্যান্ত মর্যাদাপূর্ণ রাত। হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবে বরাত বলা হয়। একাধিক সহিহ হাদিসে এ রাতের মর্যাদা প্রমাণিত। তাছাড়া এ রাতের মাহাত্ম্য সম্পর্কে রয়েছে বিশিষ্ট ইমামগণের নির্ভরযোগ্য বহু বক্তব্য। সহিহ বর্ণনা অনুযায়ী এ রাতে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ নাজিল হয়। একইসঙ্গে অসংখ্য বান্দাকে তিনি ক্ষমা করে দেন। হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন; অতঃপর তিনি তার সকল সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন, কেবল শিরককারী ও বিদ্বেষ-পোষণকারী ছাড়া। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫; শুআবুল ঈমান, বায়হাকি: ৩/৩৮২, হাদিস ৩৮৩৩) শবে বরাত উপলক্ষে অনেকে অন্যান্য আমলের পাশাপাশি ১৫ শাবান রোজা রাখেন। বিষয়টি শরিয়তসম্মত কি না জানার কৌতূহল রয়েছে অনেকের। এ সম্পর্কে হাদিসের নির্যাস হলো- শবে বরাতের তারিখ আইয়ামে বিজের (প্রতি...
শবে বরাতের রোজা কয়টি
অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র শবে বরাতের রাতে করণীয়-বর্জনীয়
অনলাইন ডেস্ক

মহান আল্লাহ বান্দাকে সুযোগ দিয়ে থাকেন। পবিত্র শবে বরাতও বিশেষ একটি সুযোগ। এটি মুমিনদের মুক্তির রাত। তাই এটি নামকরণ হয়েছে শবে বরাত নামে। এ রাতে কিছু করণীয়-বর্জনীয় বিষয় রয়েছে: করণীয় কিছু বিষয় হলো- নফল নামাজে মগ্ন হওয়া ফরজ ইবাদাতে আমরা ত্রুটি করে থাকি। নফলের মাধ্যমে ফরজের ঘাটতি দূর হয়। এজন্য উচিত, বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। তাছাড়া এ রজনী যেহেতু মাহাত্ম্যপূর্ণ,তাই এ রাতের নফলের বিশেষ মাহাত্ম্যও রয়েছে। তবে লক্ষ্য রাখা উচিত, যাতে নিদ্রার বিলম্বের কারণে ফজরের নামাজের ক্ষতি না হয়। দোয়ায় শামিল হওয়া মুমিন চায় তার মনোবাসনা পূরণ হোক। আর দোয়া হচ্ছে এ বাসনা পূরণের মাধ্যম। তাই উচিত, এরজনীতে আল্লাহর নিকট আর্জি পেশ করা। প্রিয় বস্তু কামনা করা। আল্লাহ তায়ালার কাছে বিনয়াবনত হওয়া। গুনাহ মার্জনার জন্য তাওবায় নিমগ্ন হওয়া। অতীত জীবনের জন্য লজ্জিত হওয়া। কোরআন...
কবর জিয়ারতে সালাম ও দোয়ার নিয়ম
অনলাইন ডেস্ক

কবরস্থানে গিয়ে মৃত মুসলমানদের সালাম দেওয়া সুন্নত। কবর জিয়ারত করা, কবরস্থানে গিয়ে মৃত মুসলমানদের জন্য দোয়া করা ও মৃত্যুর কথা স্মরণ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাঝে মাঝেই সাহাবিদের কবরস্থান জান্নাতুল বাকিতে যেতেন এবং বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করতেন, কবরবাসীর জন্য দোয়া করতেন। কবরস্থানে গিয়ে অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ ও শরিয়ত-নিষিদ্ধ কাজকর্ম ঠেকাতে একবার রাসুল (সা.) কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলেন। পরবর্তীতে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়ে তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন থেকে তোমরা কবর জিয়ারত কর। কারণ কবর জিয়ারত দুনিয়ার আকর্ষণ কমিয়ে দেয় ও পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (সুনানে ইবনে মাজা: ১৫৭১) কবর জিয়ারত করতে গিয়ে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কবরবাসীকে সালাম দিয়ে...
মৃত্যু পরবর্তী অবস্থা নিয়ে কুয়েতি লেখকের অনুভূতি
অনলাইন ডেস্ক

পরলোকগত কুয়েতি লেখক আব্দুল্লাহ যারাল্লাহ মৃত্যুর পর তার সঙ্গে যা ঘটবে তা নিয়ে নিজের মৃত্যু আগে কিছু অনুভূতির কথা লিখে গিয়েছেন। তিনি তার মৃত্যুর পর তার সঙ্গে যা ঘটবে তা নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে লেখেন, মৃত্যু নিয়ে আমি কোনো দুশ্চিন্তা করবো না, আমার মৃতদেহের কি হবে সেটা নিয়ে কোন অযথা আগ্রহ দেখাবো না। আমি জানি আমার মুসলিম ভাইয়েরা করণীয় সবকিছুই যথাযথভাবে করবে। يُجَرِّدُونَنِي مِنْ مَلَابِسِي তারা প্রথমে আমার পরনের পোশাক খুলে আমাকে বিবস্ত্র করবে, يَغْسِلُونَني আমাকে গোসল করাবে, يَكْفِنُونَنِي (তারপর) আমাকে কাফন পড়াবে, يُخْرِجُونَنِي مِنْ بَيْتِي আমাকে আমার বাসগৃহ থেকে বের করবে, يَذهَبُونَ بِي لِمَسَكِنِي الجَدِيدِ (القَبْرُ) আমাকে নিয়ে তারা আমার নতুন বাসগৃহের (কবর) দিকে রওনা হবে, وَسَيَأتِي كَثِيرُونَ لِتَشْيِيْعِ الجَنَازَتِي আমাকে বিদায় জানাতে বহু মানুষের সমাগম হবে, بَلْ سَيَلْغِي الكَثِيرُ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর