রোগ থেকে মুক্তি পেতে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসা নেওয়া আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। চিকিৎসার পাশাপাশি দোয়াও পড়েন মুসলমানরা। হাদিসে রোগ মুক্তির বিভিন্ন দোয়া বর্ণিত হয়েছে। কোরআনের আয়াতের ওপর আমল করেও রোগ থেকে মুক্তি লাভ হয়। তফসীরবিদ ইমাম বায়হাকী (রহ.) বলেন, পবিত্র কোরআনে যেমন আত্মার যাবতীয় রোগ এবং মন্দ প্রবণতার চিকিৎসা রয়েছে, তেমনি দেহের যাবতীয় রোগ-ব্যাধিরও চিকিৎসা রয়েছে। তাফসিরে কুরতুবিতে লেখা হয়েছে, যে ব্যক্তি কোরআনের মাধ্যমে আরোগ্য তালাশ করে না, তার কোন শেফা নেই। (তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১০ম, পৃষ্ঠা-২৩৫) এখানে কোরআনের এমন ছয়টি আয়াত তুলে ধরা হল যার ওপর আমল করলে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব- ১. সুরা তাওবার ১৪ নম্বর আয়াত। وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ উচ্চারণ- ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম...
রোগমুক্তির জন্য কোরআনের যে আয়াতগুলো পড়বেন
অনলাইন ডেস্ক

শবে বরাতের রোজা কয়টি
অনলাইন ডেস্ক

ইসলামে শবে বরাত একটি অত্যান্ত মর্যাদাপূর্ণ রাত। হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবে বরাত বলা হয়। একাধিক সহিহ হাদিসে এ রাতের মর্যাদা প্রমাণিত। তাছাড়া এ রাতের মাহাত্ম্য সম্পর্কে রয়েছে বিশিষ্ট ইমামগণের নির্ভরযোগ্য বহু বক্তব্য। সহিহ বর্ণনা অনুযায়ী এ রাতে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ নাজিল হয়। একইসঙ্গে অসংখ্য বান্দাকে তিনি ক্ষমা করে দেন। হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন; অতঃপর তিনি তার সকল সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন, কেবল শিরককারী ও বিদ্বেষ-পোষণকারী ছাড়া। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫; শুআবুল ঈমান, বায়হাকি: ৩/৩৮২, হাদিস ৩৮৩৩) শবে বরাত উপলক্ষে অনেকে অন্যান্য আমলের পাশাপাশি ১৫ শাবান রোজা রাখেন। বিষয়টি শরিয়তসম্মত কি না জানার কৌতূহল রয়েছে অনেকের। এ সম্পর্কে হাদিসের নির্যাস হলো- শবে বরাতের তারিখ আইয়ামে বিজের (প্রতি...
পবিত্র শবে বরাতের রাতে করণীয়-বর্জনীয়
অনলাইন ডেস্ক

মহান আল্লাহ বান্দাকে সুযোগ দিয়ে থাকেন। পবিত্র শবে বরাতও বিশেষ একটি সুযোগ। এটি মুমিনদের মুক্তির রাত। তাই এটি নামকরণ হয়েছে শবে বরাত নামে। এ রাতে কিছু করণীয়-বর্জনীয় বিষয় রয়েছে: করণীয় কিছু বিষয় হলো- নফল নামাজে মগ্ন হওয়া ফরজ ইবাদাতে আমরা ত্রুটি করে থাকি। নফলের মাধ্যমে ফরজের ঘাটতি দূর হয়। এজন্য উচিত, বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। তাছাড়া এ রজনী যেহেতু মাহাত্ম্যপূর্ণ,তাই এ রাতের নফলের বিশেষ মাহাত্ম্যও রয়েছে। তবে লক্ষ্য রাখা উচিত, যাতে নিদ্রার বিলম্বের কারণে ফজরের নামাজের ক্ষতি না হয়। দোয়ায় শামিল হওয়া মুমিন চায় তার মনোবাসনা পূরণ হোক। আর দোয়া হচ্ছে এ বাসনা পূরণের মাধ্যম। তাই উচিত, এরজনীতে আল্লাহর নিকট আর্জি পেশ করা। প্রিয় বস্তু কামনা করা। আল্লাহ তায়ালার কাছে বিনয়াবনত হওয়া। গুনাহ মার্জনার জন্য তাওবায় নিমগ্ন হওয়া। অতীত জীবনের জন্য লজ্জিত হওয়া। কোরআন...
কবর জিয়ারতে সালাম ও দোয়ার নিয়ম
অনলাইন ডেস্ক

কবরস্থানে গিয়ে মৃত মুসলমানদের সালাম দেওয়া সুন্নত। কবর জিয়ারত করা, কবরস্থানে গিয়ে মৃত মুসলমানদের জন্য দোয়া করা ও মৃত্যুর কথা স্মরণ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাঝে মাঝেই সাহাবিদের কবরস্থান জান্নাতুল বাকিতে যেতেন এবং বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করতেন, কবরবাসীর জন্য দোয়া করতেন। কবরস্থানে গিয়ে অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ ও শরিয়ত-নিষিদ্ধ কাজকর্ম ঠেকাতে একবার রাসুল (সা.) কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলেন। পরবর্তীতে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়ে তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন থেকে তোমরা কবর জিয়ারত কর। কারণ কবর জিয়ারত দুনিয়ার আকর্ষণ কমিয়ে দেয় ও পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (সুনানে ইবনে মাজা: ১৫৭১) কবর জিয়ারত করতে গিয়ে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কবরবাসীকে সালাম দিয়ে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর