উত্ত্যক্তকারীদের অত্যাচারে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ছাত্রীর আত্মহত্যা

উত্ত্যক্তকারীদের অত্যাচারে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

এবার উত্ত্যক্তকারীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাটিয়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নিহত কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মিয়া। তবে আজ শনিবার পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানান তিনি।

পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীর নাম সীমা রানী দাস (১৪)। সে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বাজিতপুর দীঘিরপাড় এলাকার নিত্যানন্দ ঋষিদাসের মেয়ে।

রাজেন্দ্রপুর উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া সীমা রানী তিন ভাইবোনের মধ্যে বড়।

পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, মা-বাবার সঙ্গে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাটিয়াবাড়ি এলাকায় ভাড়া থাকত সীমা।

স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই তাঁর এক সহপাঠীকে জড়িয়ে এলাকার কিছু বখাটে তাঁকে অপবাদ দিত। অভিযোগে বলা হয়, সাটিয়াবাড়ি এলাকার চন্দন বাবুর ছেলে রাজকুমার চন্দ্র মানিক ও নৃপেন্দ্র চন্দ্র মনিদাসের ছেলে রিপন চন্দ্র মনিদাস প্রায় প্রতিদিন সীমা রানীকে রাস্তায় অপবাদ দিত এবং উত্ত্যক্ত করত। সর্বশেষ ১১ এপ্রিল রাতে বাড়িতে এসে সীমা রানীকে অপবাদ দিয়ে অপমানজনক কথা বলে উত্ত্যক্ত করে ওই দুজন। পরদিন মা-বাবা কাজে চলে যাওয়ার পর ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে সীমা রানী।

নিহত সীমার বাবা নিত্যানন্দ ঋষিদাস বলেন, ওই বখাটেরা পেশায় ইজিবাইকচালক। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল ওই বখাটেরা। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এসআই মনিরুজ্জামান মিয়া বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে বখাটেরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর