স্বামীকে বেঁধে মারধর করে স্ত্রীকে গণধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

স্বামীকে বেঁধে মারধর করে স্ত্রীকে গণধর্ষণ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্বামীকে বেঁধে মারধর করে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধলাসার ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলী গ্রামে। বখাটেচক্র ওই গৃহবধূকে (৩০) সোমবার রাত নয়টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে গণধর্ষণ শেষে অন্য এলাকার মেম্বার আনোয়ার ফকিরের বাড়িতে রেখে যায়।  

ওই রাতেই স্বামী মো.সিদ্দিককে এবং মঙ্গলবার সকালে স্ত্রীকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ভিকটিমকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল এর প্রোগ্রাম অফিসার মো. ইদ্রিস আলম মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আইনি সহায়তার জন্য পাঠিয়েছেন। আর স্বামী সিদ্দিক কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা যায়,  রাত সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটার পর তার খালা শ্বাশুড়ির বাসায় একদল যুবক প্রবেশ করে। এ সময় তারা এ বাসায় কেন এসেছে- জানতে চায়।

গৃহবধূ তার স্বামীর সাথে এসেছে জানালে যুবকরা তার বিয়ের কাবিন দেখতে চায়। খবর পেয়ে তার স্বামী কাবিনের কাগজ নিয়ে আসলেও এবিয়ে মিথ্যা দাবি করে তাকে হাত-পা বেঁধে বেধরক মারধর শুরু করে।

এ সময় পরিবারের লোকজন বাঁচাতে এলে তাদেরও মারধর করে ফেলে রেখে। স্বামীকে মারধর শেষে যুবকরা পালাক্রমে প্রথমে ঘরের মধ্যে পরে পাশ্ববর্তী মাছের ঘেরে নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ১২টার দিকে পাশ্ববর্তী গ্রামের ইউপি সদস্য আনোয়ার ফকিরের বাসায় গৃহবধূকে রেখে আসে।

ইউপি সদস্য আনোয়ার ফকির জানান, সোমবার রাতে জনৈক মামুন তাকে ফোন করে জানান যে, এক মহিলাকে তার বাসায় পাঠানো হচ্ছে। রাত সাড়ে ১১টার পর ওই মহিলা তার বাসায় আসেন। তার কাছে তখন ধর্ষণের কথা বলেননি বলে জানান। কে তার বাসায় তাকে দিয়ে গেছে তাও জানেন না।

কলাপাড়া হাসপাতালের ওসিসি’র প্রোগ্রাম অফিসার মো. ইদ্রিস আলম জানান, ভিকটিম নির্যাতনের স্বীকার হয়ে তাদের কাছে আইনি সহায়তার জন্য এসেছেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা ও মনোকাউন্সিলিং করে ভিকটিমকে আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য মহিপুর থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।  

কলাপাড়া হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রেফায়েত হোসাইন জানান, কলাপাড়া হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালে ভিকটিমের পরীক্ষা সম্ভব না। বিষয়টি মহিপুর থানার ওসিকে জানানো হয়েছে এবং পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বলা হয়েছে।

মহিপুর থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম জানান, থানায় আইনি সহায়তা চাইলে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে এ ব্যাপারে তাকে সহায়তা প্রদান করা হবে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর