লালমনিরহাটের পাটগ্রামে পালিত মেয়েকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণার দায়ে ইয়াকুব আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করে পাটগ্রাম পুলিশ। ইয়াকুব আলী উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট এলাকার মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুই মেয়েসহ বিধবা মিনু বেগমকে বিয়ে করেন ইয়াকুব আলী।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ওই রাতেই বিথির মৃত্যু হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
মর্গের চিকিৎসকরা মেয়ের আত্মহত্যার পেছনে ধর্ষণের আলামত পেয়ে সিআইডিতে প্রতিবেদন পাঠান।
এ রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পাটগ্রাম থানা পুলিশ মৃত বিথি আক্তারের বাবা ইয়াকুব আলী ও মা মিনু বেগমকে রোববার থানায় ডেকে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতে বিথির মা মিনু বেগম মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে স্বামী ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় ইয়াকুব আলীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে নিশ্চিত করে পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনছুর আলী বলেন, মর্গের রিপোর্ট ও মৃত মেয়ের মায়ের অভিযোগে তার পালক বাবা ইয়াকুব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গুরুত্ব সহকারে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিন বোনকে বিয়ে করতে গিয়ে ধরা সিরাজ
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
