শিক্ষা অফিসারের গাফিলতি

শিক্ষা অফিসারের বদলী বাণিজ্য

শিক্ষা অফিসারের গাফিলতি

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে নীতিমালা উপেক্ষা করে বদলী বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে বদলীর অভিযোগে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান জানান, আমার মেয়ে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর সহকারী শিক্ষক হিসেবে কলম গোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তারপর থেকে সেখানেই কর্মরত আছে।

সিংড়া উপজেলা সদর হতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্ব। তাছাড়া সে
শারীরিকভাবে অসুস্থ।

সিংড়া দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বদলী হয়ে যাচ্ছেন এ সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি আমার মেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি আবেদন জমা দেন। কিন্তু বদলীর জন্য টাকা না দেওয়ায় নীতিমালা উপেক্ষা করে আমার মেয়ের বদলীর আবেদন অগ্রাহ্য করে গত ৩১ মার্চে ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে বদলী করা হয়।

তিনি আরো বলেন, কোনো কোনো শিক্ষক ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বদলী হয়েছেন। আমি টাকা দিতে পারিনি জন্য বদলী করা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মানবিক দিক বিবেচনায় আমার নাতি প্রতিবন্ধী বিধায় বদলীর আবেদনে জোড়
সুপারিশ করেন।

কিন্তু তার সুপারিশ কেও অগ্রাহ্য করা হয়েছে। তাছাড়া নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে মার্চ বদলী করা হয়। কিন্তু শিক্ষা অফিসার মইনুল
হাসান বদলীর শেষ কার্যদিবসে বদলী করান। যাতে অন্য কেউ বদলী হতে না পারেন।

সহকারী শিক্ষক কামরুন নাহার বলেন, আমার সন্তান প্রতিবন্ধী, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা, আমি ৬ বছর ধরে একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি।
নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করেছিলাম, কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনা করা হয়নি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মঈনুল হাসান জানান, ৩১ মার্চে ওই বিদ্যালয়ের পদ শুন্য হওয়ায় তাঁকে বদলী করা সম্ভব হয়নি।

জেলা শিক্ষা অফিসার এরশাদ আলী জানান, বিষয়টি তাঁর জানা ছিলো না, টিও অফিস থেকে সুপারিশের পেক্ষিতে বদলী করা হয়। এখন বদলীর সুযোগ নাই। তবে অধিদপ্তর বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাসিম/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর