শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত ‘ফণী’

ফণীর প্রভাব

শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত ‘ফণী’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ অনেকটাই দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় আজ সারাদিন ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার দুপুর একটায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ‘ফণী’ যে ঢাকা ও এর আশপাশে অবস্থান করছিল সেটি আরো দুর্বল হয়ে দুপুর ১২টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।

এর কিছু পরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয়ের এক সভায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটি এরই মধ্যে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে আমরা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছি। তার পরিবর্তে সব বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টানা বৃষ্টির ফলে ঢাকার তাপমাত্রা কমে ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। গতকাল সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৬০ মিলিমিটার এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমদ আরো বলেন, উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি ফণী যে দিকে অগ্রসর হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে, বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। তারসঙ্গে ভারি বর্ষণও হতে পারে। রংপুরে, রাজশাহীতে ভারি বর্ষণ হয়েছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলেও ভারি বর্ষণ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

বিকেল চারটার পর দেশের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনকে বাড়ি ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও সভা থেকে জানানো হয়।

গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে ‘ফণী’র তাণ্ডব শুরু হয়। সেখানকার পুরি উপকূলে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে। সেখানে আটজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এরপর সেটি পশ্চিমবঙ্গে আঘাত আনে।

মধ্যরাতের পর ভারতের এই রাজ্যে প্রবেশ করে ‘ফণী’। ৯০ কিলোমিটার বেগে খড়গপুরে এটি আঘাত হানে। পরে আরামবাগ, কাটোয়া, নদীয়া হয়ে গেছে মুর্শিদাবাদে। তারপর সেখান থেকে আজ সকাল ছয়টায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

‘ফণি’র আঘাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী ও শিশুসহ এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ‘ফণি’র প্রভাবে প্রচণ্ড বাতাসে পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

তবে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আঘাতে উপকূলীয় জেলা বরগুনার পাথরঘাটায় দুইজন, ভোলা ও নোয়াখালীতে একজন করে মোট চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৩ জন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর