রংপুরে কালো মেঘ, বইছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

রংপুরে কালো মেঘ

রংপুরে কালো মেঘ, বইছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের দিকেই ধেয়ে আসছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের আঘাত হানতে পারে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ঘূর্ণিঝড়। যশোর-মেহেরপুর অঞ্চল দিয়ে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকলেও রংপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এ কারণে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মতোই সমানভাবে আতঙ্কিত রংপুরবাসী।

তবে আতঙ্কের মধ্যে কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ভারতের মতো ধ্বংসযজ্ঞের সম্ভাবনা নেই রংপুরসহ সারাদেশে।  

কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, যতই সময় গড়াচ্ছে ততই দুর্বল হবে ফণীর দাপুটে শক্তি। ফণীর প্রভাবে শনিবার (৪ মে) মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত রংপুরে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।

সাথে বাতাসে বেগও ছিল। ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে কালো মেঘ দেখা গেছে। ঘণ্টায় ২০-২৫ কিলোমিটার বেগে বাতাসও বইছে।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব নিয়ে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ফণী দুর্বল হয়ে পড়ায়
রংপুরের নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলসহ এই জেলাতে তেমন বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। তবে ঝড়ের গতিবেগ বাড়লে বৈদ্যুতিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ গাছ-গাছালি উপড়ে পড়তে পারে।

তিনি আরও বলেন, রংপুর অঞ্চলে ফণীর প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার হতে পারে। ক্রমশ দুর্বল হওয়া ফণীর আঘাতে প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। ফণী নিয়ে আতঙ্কিত বা শঙ্কিত না হয়ে এখন নিরাপদে থাকাই শ্রেয়।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর মোকাবিলায় রংপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী বেষ্টিত এলাকাগুলোতে সতর্কতা মূলক মাইকিং করা হয়েছে শেল্টার সেন্টার হিসেবে ব্যবহারে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিভিন্ন উপজেলার স্কুল-কলেজ ও আশ্রয়কেন্দ্রসমূহ।

রংপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন মিয়া বলেন, রংপুরে নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করা ফণীর প্রভাবে রংপুরে কালো মেঘ, ঝড়ো হাওয়া, বইছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/মানিক/তৌহিদ)