তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, আটক ৩

প্রতীকী ছবি

তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, আটক ৩

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দু’দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। আজ শুক্রবার বোয়ালমারী থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

মামলাটি দায়ের করেছেন সালথা উপজেলার বল্লভর্দী ইউনিয়নের নির্যাতিত ওই তরুণী। পরে তাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শুক্রবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।

পুলিশ এজাহারভুক্ত তিন আসামি ইউসুফ (২০), মেহেদী (২৪) ও আকমল বিশ্বাসকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত চার মাস ধরে পাশের সালথা উপজেলার বল্লভর্দী ইউনিয়নের ১৯ বছরের ওই তরুণীর সঙ্গে বোয়লামারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বনচাকী গ্রামের ছবর শেখের ছেলে মো. ইউসুফ শেখের (২০) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।  

গত বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ইউসুফ ওই তরুণীকে বিয়ে করার কথা বলে মোবাইল ফোনে বোয়ালমারীর পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া বাজার এলাকায় আসতে বলে। সে ময়েনদিয়া বাজারে আসার পর ইউসুফ তাকে নিয়ে ওই এলাকার হাবুল শেখের ছেলে মেহেদী হাসানের বাড়িতে নিয়ে যায়।

ওইদিন রাতে ইউসুফ ওই তরুনীকে ধর্ষণ করে ওই বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখে। পরের দিন বনচাকী গ্রামের আকমল বিশ্বাস ওই তরুনীকে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণ করে ঘরে আটকে রাখার বিষয়টি ওই তরুণী আসমি মেহেদীর ফুপাতো ভাইয়ের মাধ্যমে বোয়ালমারী থানা পুলিশকে জানায়। বোয়ালমারী থানার পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে মেহেদীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে এবং ইউসুফ ও মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে।

বোয়ালমারী থানার ওসি এ কেএম শামীম হাসান বলেন, আটক ইউসুফ ও মেহেদীকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

মামলার অপর আসামি আকমলকে কোতয়ালী থানার পুলিশের সহায়তায় শুক্রবার বিকেল ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ি রাস্তাড় মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)