নারী কাউন্সিলরের কামড়ে হাসপাতালে কলেজ শিক্ষিকা!

ম্যাপ

নারী কাউন্সিলরের কামড়ে হাসপাতালে কলেজ শিক্ষিকা!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শরীফুন্নেছা শিরিনের দাঁতের কামড়ে ও বেধড়ক মারপিটে গুরুতর আহত হয়েছেন তার সতীন ফারহানা জামান ওরফে সাথী (৩০)। তিনি বনপাড়া শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা অনার্স কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। সাথী বর্তমানে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  

শনিবার রাত ৮টার দিকে পৌরসভার কালিকাপুর মহল্লার স্বামীর প্রথম স্ত্রী সাথীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন নারী কাউন্সিলর শরীফুন্নেছা শিরিন।

এসময় বাঁধা দিতে এলে কাউন্সিলর শিরিন রড দিয়ে সতিন সাথীকে বেধড়ক আঘাত করেন এবং হাত, আঙ্গুল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেন। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে প্রভাষক সাথীকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  

এ ঘটনায় রাত ১১টার দিকে প্রভাষক সাথী বাদী হয়ে  বড়াইগ্রাম থানায় কাউন্সিলর শরিফুন্নেছা শিরিনসহ অজ্ঞাত ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। সাথী কালিকাপুর মহল্লার কামরুজ্জামান কল্লোলের প্রথম স্ত্রী ও কাউন্সিলর শিরিন দ্বিতীয় স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, কালিকাপুরের ঔষধ ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান কল্লোল প্রথম স্ত্রী প্রভাষক সাথীর অনুমতি ছাড়াই গত বছর নভেম্বরে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে বিয়ে করেন বনপাড়া পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর ও স্বামী পরিত্যক্তা শরীফুন্নেছা শিরিনকে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে শিরিন পুণরায় প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাতে থাকেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে শিরিন তার সতিন সাথীর এলাকায় প্রচারণা চালালে আপত্তি জানায় স্বামী কল্লোল।

মোবাইল ফোনে কল্লোল এ ব্যাপার শিরিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। গালি-গালাজ শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে শিরিন কল্লোলের প্রথম স্ত্রী সাথীর বাড়িতে ঢুকে সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এতে বাঁধা দিলে প্রভাষক সাথীর উপর হামলা চালায় কাউন্সিলর শিরিন।  

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহরিয়ার খাঁন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে কাউন্সিলর শরীফুন্নেছা শিরিনসহ ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত খবর