স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা

স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি 

লক্ষ্মীপুরে দিদার হোসেন বাবলু নামের এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণের পর হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

অপহরণের আড়াই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালীর একটি ইটভাটা থেকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

ঘটনার শিকার বাবলুকে পুলিশি পাহারায়  লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত  সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের বসুরহাট বাজারের একটি ফার্মেসী থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

এ ঘটনায় রোমান নামের অভিযুক্ত এক অপহরনকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আহত বাবলু স্থানীয় চরশাহী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও মৃত আমিন উল্লার ছেলে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা বাবলু, পুলিশ ও এলাকাবাসী  জানায়, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রিয়াজ গ্রুপের রিয়াজসহ কয়েকজন যুবক তাকে হুমকি-ধমকি দেয়। রাতে তারাবীর নামাজ শেষে বাজারের একটি ফার্মেসীতে আড্ডারত অবস্থায় হঠাৎ করে সিএনজি যোগে ৫/৬ জনের একটি অস্ত্রধারী গ্রুপ তাকে ধস্তাধস্তি করে অস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ সময় বাধা দিতে গেলে অপহৃতের বড় ভাই শহীদ আলম লিটন আহত হন। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি ছোঁড়ে সন্ত্রাসীরা। পরে বাবলুকে পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার একটি ইট ভাটায় নিয়ে বেধম মারধর করে। এ ঘটনায় জড়িত স্থানীয় রোমান, রাজু, রিয়াজ ও জুয়েলকে আহত বাবলু চিনতে পেরেছেন বলে জানান।

খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নোয়াখাালী সদরের হুমায়ুনের ইট ভাটা থেকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। তার ডান পায়ে ছুরিকাঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ দিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ জড়িত সব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাবলুকে অপহরণ করা হয়। পরে পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)